ফণী-র থাবা এবার বাংলাদেশে, ঝুঁকি এড়াতে কতটা প্রস্তুত প্রশাসন

  • ওড়িশা, বাংলার পর এবার বাংলাদেশে ফণী
  • কতটা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাংলাদেশের
  • ঝুঁকি কমাতে কী কী পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ।

Jayita Chandra | Published : May 4, 2019 10:57 AM IST / Updated: May 04 2019, 05:27 PM IST

আবহাওয়া দপ্তরের নির্ভূল গণনার রেখা ধরেই গত ২৪ ঘন্টায় এগিয়েছে ফণী। বৃহস্পতিবার ফণী-র আশঙ্কায় যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলার প্রশাসন, ঠিক একই ভাবে তালে তাল মিলিয়ে প্রস্তুত ছিল বাংলাদেশ।

শুক্রবার সকাল ৮.৩০ টা নাগাদ ওড়িশায় ঢোকে ফণী, সেখান থেকেই রাত বারোটায় পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে। এরপর ভোরেই বাংলাদেশের দিকে মোড় নেয় এই ঘূর্ণিঝড়। শনিবার দুপুরবেলা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বইবে ফণী, এমনটাই পূর্বাভাস মিলেছিল আবহাওয়া দপ্তর। তবে, ফণী এখন শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

ফণীর জেরে ঝোড়ো হাওয়ার আঁচ পেয়েছিল বাংলাদেশ। পাটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট এলাকাগুলি সমুদ্র উপকূলের পাশে হওয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের শিকার হয়। বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে জল ঢুকে পরে মোট ১৬টি গ্রামে। ১৯টি জেলার মোট ২২ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া পরিকল্পণা করে বাংলাদেশ সরকার। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১২ লাখ মানুষকে স্থানান্তরিত করতে সমর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ সরকার।  

ওড়িশায় ঝড়ের তাণ্ডব দেখে প্রস্তুত করা হয় ৩২টি জাহাজ। চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা সংলগ্ন এলাকায় রাখা হয় এই জাহাজগুলিকে। প্রতি পরিবার পিছু মজুত করা হয় পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার। রাখা হয় প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও। নদীর ধারে দফায় দফায় চলে প্রচার ও সতর্কতা অবলম্বনের ঘোষণা। জেলায়-জেলায় সজাগ থাকে স্থানীয় পুলিশ। কিন্তু কলকাতার মতই ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল বাংলাদেশের। ফণী-র শক্তি হারানোয় তাই কোনও বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়হয়নি। হাওয়ার গতিবেগ ঘন্টায় দাঁড়ায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। তবে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে বাংলাদেশ জুড়ে। শনিবার দুপুরে ফণী-র প্রভাবে উত্তাল হয় সমুদ্র উপকূল। অমাবস্যা ও ফণী-র যুগ্ম প্রভাবেই দেখা যায় জলোচ্ছাস।

আবহাওয়া দপ্তরের মতে, গত ২৪ ঘন্টায় নিজের শক্তি হারিয়ে এখন দূর্বল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ফণী। তাই নতুন করে আর কোনও দূর্যোগের আশঙ্কা নেই। রবিবার বিকেল থেকেই পরিষ্কার হবে বাংলাদেশের আকাশ।

Share this article
click me!