মার্কিন সফরে ৬৫ ঘন্টায় ২০টি বৈঠক, নরেন্দ্র মোদী কি ক্লান্ত হন না, ফাঁস হল সেই রহস্য

৬৫ ঘন্টায় ২০টি বৈঠক কীভাবে করলেন প্রধানমন্ত্রী। কীভাবে জেটল্যাগ কাটিয়ে এত সক্রিয় ও সতেজ থাকলেন মোদী। সেই রহস্যই ফাঁস করল সরকারি সূত্র।

Parna Sengupta | Published : Sep 26, 2021 4:24 PM IST

তিন দিনের আমেরিকা সফর (US trip) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi)। আক্ষরিক অর্থে পাওয়ার প্যাকড বলতে যা বোঝায়, এই সফর যেন ছিল ঠিক তাই। বললে অনেকেই বিশ্বাস করছেন না যে প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ৬৫ ঘন্টায় বৈঠক করেছেন কুড়িটি (Modi attended 20 meetings in 65-hour)। যার মধ্যে চারটি বৈঠক তিনি সেরেছেন বিমানেই। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, মোদী বুধবার আমেরিকা যাওয়ার পথে ফ্লাইটে দুটি বৈঠক করেন। হোটেলে ঢুকেই তিনটি বৈঠক সারেন। 

সরকারি সূত্র আরও জানিয়েছে ২৩শে সেপ্টেম্বর তিনি বেশ কয়েকটি কোম্পানির সিইওর সাথে পাঁচটি বৈঠক করেন এবং তারপরে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সাথে আলোচনা করেন। এরপরের বৈঠক ছিল জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার সঙ্গে। পরবর্তী বৈঠকে মোদী মিলিত হন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে। এর পাশাপাশি, তিন অভ্যন্তরীণ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন নরেন্দ্র মোদী। 

Latest Videos

এর পরদিন তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। তারপর চতুর্থ বৈঠকে যোগ দেন। সূত্র জানায়, মোদী ২৪ সেপ্টেম্বর চারটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকও করেন। ২৫শে সেপ্টেম্বর মোদী যখন ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হন, তখন তিনি ফ্লাইটে দুটি বৈঠক করেন বলে সরকারি সূত্রের খবর।     

এখানেই প্রশ্ন উঠছে। ৬৫ ঘন্টায় ২০টি বৈঠক কীভাবে করলেন প্রধানমন্ত্রী। কীভাবে জেটল্যাগ কাটিয়ে এত সক্রিয় ও সতেজ থাকলেন মোদী। সেই রহস্যই ফাঁস করল সরকারি সূত্র। সরকারি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মোদী নিজের বিদেশ সফরে কোনওভাবেই কোনও বিশ্রামের জায়গা রাখেন না। এত কাজ এক সঙ্গে রাখেন তিনি, যে সেই শিডিউলের মাঝে বিশ্রাম নেওয়ার কোনও অবকাশ রাখেন না। ফলে সক্রিয় মস্তিষ্ক সবসময় কাজের মধ্যেই রাখে তাঁকে। কখনও শ্রান্ত হয়ে পড়ার অবকাশ দেয় না। 

যখন তিনি ১৯৯০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতেন, সেই সময় একটি এয়ারলাইন প্রচুর ছাড়ের হারে মাসিক ভ্রমণ পাস দিত। এই পাসের সর্বাধিক ব্যবহার করতেন মোদী। রাতের ফ্লাইটে বিদেশ যেতেন তিনি, যাতে দিনের পুরো অংশ ঘুরে বেড়াতে পারেন ও হোটেলে টাকা খরচ না করতে হয়। 

এছাড়াও চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী প্রচুর জল খান, যাতে তাঁর শরীর জলশূণ্য না হয়ে পড়ে। কারণ বিমান বাতাস শরীরের আর্দ্রতা বের করে দেয়। ফলে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সেই সুযোগ মোদী নিজের শরীরকে দেননি। 

Share this article
click me!

Latest Videos

ঘরে আর ফেরা হল না! উদ্ধার ৮ মৎস্যজীবীর মৃতদেহ! পরিবারের কান্নায় ভাসলো নামখানা | Namkhana News Today
অনুব্রত কে নিয়ে ফিরহাদের বাঘ ফিরে এসেছের মন্তব্যের পাল্টা শুভেন্দুর, দেখুন কী বললেন | Suvendu
চারিদিকে নোংরা জল! দুর্গন্ধে টেকা দায়! এখনও রেহাই নেই আন্দুলের আড়গোড়ী মাঠ এলাকার বাসিন্দাদের
RG Kar মামলায় ফের CBI-এর তলব বিরুপাক্ষ-অভিককে, সঙ্গে সৌরভ ও Tala Thana'র এস আই | CBI Summoned
সাক্ষাৎ যমদূত ঘুরে বেড়াচ্ছে! নদীতে কেউ ভয়ে আর নামছেই না, হাড়োয়ায় তীব্র আতঙ্ক! | Haroa Crocodile Fear