সিঙ্গল, অর্থাৎ অবিবাহিত বা প্রেমিক / প্রেমিকা নেই
লকডাউনের যৌনতার জন্য মন কাঁদছে
ডাচ সরকার নির্দেশ দিল 'যৌন সঙ্গী' খুঁজে নেওয়ার
মহামারির সময়ে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে এল নতুন নির্দেশিকা
আপনি কি সিঙ্গল? অর্থাৎ অবিবাহিত বা প্রেমিক / প্রেমিকা নেই? করোনভাইরাস লকডাউনের সময় একলা একলা ঘরে আটকে থেকে যৌনতার জন্য মন কাঁদছে? চিন্তা নেই, যৌনতার জন্য এবার পাওয়া যেতে পারে বিশেষ একজন 'সেক্স বাডি' বা 'যৌনতার বন্ধু'। মহামারির সময়ে ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করল ডাচ সরকার। সেখানেই নেদারল্য়ান্ডস-এ যাঁরা সিঙ্গল তাদের জন্য এই সুবিধার কথা বলা হয়েছে।
সেই দেশের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড এনভায়র্নমেন্ট বা আরআইভিএম-এর জারি করা এই নয়া নির্দেশিকা অনুসারে, মহামারী চলাকালীন শারীরিক ঘনিষ্ঠতা চাইছেন যেসব সিঙ্গল ব্যক্তি, তাদেরকে তাদের মতোই অন্য একজন ব্যক্তির সঙ্গে এই বিষয়ে বন্দোবস্ত করে নিতে হবে।
এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, নিয়মিত পার্টনার যাঁরা, অর্থাৎ যাঁরা বিবাহিত বা যেসব প্রেমিক-প্রেমিকা একসঙ্গে থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে যৌনমিলনে কোনও বাধা নেই। কারণ তারা এতটাই ঘনিষ্ঠ যে তাদের মধ্যে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। তবে, এই ক্ষেত্রেও যদি কেউ মনে করেন, যে তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত, সেইক্ষেত্রে অপরজনের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে, তাদের দুজনের শারীরিক ঘনিষ্ঠতা এড়ানো উচিত।
তবে সেই ক্ষেত্রে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা ছাড়াই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যেতে পারে। ডাচ সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 'নিজের সঙ্গে বা অন্যদের সঙ্গে একটি দূরত্ব রেখে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যেতে পারে'। কীভাবে, ডাচ সরকারের সমাধান, একে অপরকে 'যৌন কাহিনী শুনিয়ে উত্তেজিত করা' অথবা 'একসঙ্গে হস্তমৈথুন করা'।
আরআইভিএম আরও বলেছে যে যারা সিঙ্গল তাদেরও শারীরিক ঘনিষ্ঠতার ইচ্ছে হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু, সব ঘনিষ্ঠতা এবং যৌনতার ক্ষেত্রেই করোনভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে তা বজায় রেখে যৌনতাকে উপভোগ করা যাবে, তা পার্টনারদের নিজেদের আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। তবে বারবার করে সাবধান করা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধির কথা সবসময় মাথায় রাখতে হবে।