রিসর্টে ঘরের দরজা খুলতেই মিলল আট-আটটি নিথর দেহ। তারমধ্যে চার জন শিশুও ছিল। এরপর সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া ওই আটজনকেই বিশেষ বিমানে করে এইচএএমএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, সেখানে আনার আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এরকমই রহস্যজনক ঘটনা ঘটেছে নেপালের এক রিসর্টে। পুলিশ সুপার সুশীল সিং রাঠোর জানিয়েছেন, এই আটজনই ভারতীয় পর্যটক।
নেপালের প্রথমসারির এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃত্যু আটজনের মধ্যে চার শিশু-সহ দুই দম্পতি রয়েছেন। তাঁরা কেরল থেকে ১৫ জন পর্যটকের একটি দলের সঙ্গে নেপালের জনপ্রিয় পাহাড়ি পর্যটনকেন্দ্র পোখারা-য় ঘুরতে এসেছিলেন। ঘোরার শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। সোমবার রাতে তাঁরা মকওয়ানপুর জেলার দমন এলাকায় এভারেস্ট প্যানোরামা নামে একটি রিসর্টে ছিলেন। কিন্তু, সেই রিসর্টের ঘরেই এই রহস্যজনক ঘটনা ঘটে।
রিসর্টের ম্যানেজার জানিয়েছেন, কেরলের এই পর্যটকদের দলটি মোট চারটি ঘর বুক করেছিল। কিন্তু প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে তাদের আটজন একটি ঘরেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাকিরা অন্য একটি ঘরে ওঠেন। দুটি ঘর খালিই পড়েছিল। তাঁরা ঘরের সমস্ত জানালা, দরজা, ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন। সেইসঙ্গে গা গরম রাখার জন্য একটি গ্যাসচালিত রুম-হিটার জ্বালান।
নেপাল পুলিশের সন্দেহ, ঘরে বায়ুচলাচলের অভাবেই তাঁদের মৃত্যু ঘটেছে। নিহতদের দেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলেই তাঁদের মৃত্য়ুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রথামিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে গ্যাসচালিত রুম হিটারটির গ্যাস লিক করেই সম্ভবত ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা ব্য়াপকভাবে কমে গিয়েছিল।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এই আট মালয়ালি পর্যটকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে 'নরকা'র আধিকারিকরা তাঁদের দেহাবশেষ ফেরত আনার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে মুখ্য়মন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।