রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে নতুন জীবনের দিকে পা বাড়ালেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স হ্যারি। মঙ্গলবার সকালে কানাডায় পৌঁছে গেলেন তিনি। এখানে আগে থেকেই রয়েছে তাঁর স্ত্রী মেগান ও তাঁদের আট মাসের সন্তান আর্চি।
সোমবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত হওয়া যুক্তরাজ্য-আফ্রিকা বিনিয়োগ সম্মলেন যোগ দিয়েছিলেন প্রিন্স হ্যারি। এরপরেই ভ্যাঙ্কুভারের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। রাজপরিবারের প্রতিনিধি হিসাবে এটাই তাঁর শেষ সম্মেলনে যোগদান বলে মনে করা হচ্ছে।
লন্ডনের সম্মেলনে যোগ দিলেও বাকিংহাং প্রাসাদে আফ্রিকার নেতাদের সম্মানে দেওয়া প্রিন্স ইউলিয়ামের নৈশভোজে দেখা যায়নি হ্যারিকে। তবে ব্রিটেন ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে ২০ মিনিটের ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ করেন হ্যারি।
চলতি মাসের ৮ তারিখ ইনস্টাগ্রামে হ্যারি ও মেগান ঘোষণা করেন , তাঁরা রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে স্বনির্ভর হতে চান। বসবাস করতে চান কানাডায়। এই ঘোষণা ঘিরে ব্রিটিশ রাজপরিবারে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। ছোট নাতিকে সিদ্ধান্ত থেকে ফেরাতে উদ্যোগ নেন খোদ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ১৩ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের নরফক স্যান্ড্রিংহ্যাম প্রাসাদে হ্যারির সঙ্গে বৈঠক করেন রানি এলিজাবেথ। বৈঠকে হ্যারি ও মেগানকে তাঁদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে রানি সমর্থন জানালেও, দু'জনে রাজপরিবারের সদস্য হিসাবে পুরো সময় দায়িত্ব পালন করুক সেকথা বলেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
আরও পড়ুন: নাবালিকার গোপনাঙ্গে জলের বোতল ঢুকিয়ে দিল বাসচালক, নারকীয় ঘটনার সাক্ষী বাণিজ্য নগরী মুম্বই
হ্যারি ও মেগান এরপরেও তাঁদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসায় ১৮ জানুয়ারি বাকিংহাং প্যালেস বিবৃতি দিয়ে জানায়, ডিউক অফ সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল তাঁদের রাজকীয় উপাধি আর ব্যবহার করতে পারবেন না। চলতি বছরের বয়স্ত থেকেই তা কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাস চিনে প্রাণ কাড়ল আরও একজনের, সতর্ক হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশও
ক্রিসমাসের সময় ছয় সপ্তাহের জন্য ভ্যাঙ্কুবারে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন প্রিন্স হ্যারি। আপাতত কানাডার পশ্চিম উপকূলের এই শহরের স্ত্রী মেগান ও ছেলে আর্চিকে নিয়ে থাকবেন হ্যারি।