এ যেন সিনেমার সেই প্রকাণ্ড গরজিলা। যা জল থেকে উঠে আসতেই আত্মরাম খাঁচা হয়ে যাওয়ার জোগাড়।
বাংলাদেশের মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এমনই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন জাহাঙ্গির মিয়া। ওই মৎস্য়জীবী সেখানে ৩০০ কেজির একটি পানপাতা বা শঙ্কর মাছ ধরেছিলেন। এত বড় মাছ আগে কখনও ধরা তো দূরের কথা, দেখার অভিজ্ঞতা পর্যন্ত হয়নি জাহাঙ্গির মিয়ার। তিনি নিজে একা সামলাতে না-পেরে, অন্য়ান্য়দের সহায়তায় মাছটিকে জল থেকে তুলতে পারেন কোনওক্রমে। তারপর তাকে আশুগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসেন। সেখানে ভাল দাম না-পেয়ে মাছটিকে তিনি বয়ে নিয়ে যান পাথরঘাটা মৎস্য় অরতরণ কেন্দ্রে।
এবার সেখানে অনেক দরাদরির পর মাছটি কেনেন শহিদ মোল্লা। যিনি পেশায় মাছ ব্য়বসায়ী। তিনশো কেজির ওই মাছটির দাম ওঠে ৫৫ হাজার টাকায়। তারপর ওই ব্য়বসায়ী মাছটিকে বিক্রি করতে রীতিমতো চোঙা ফুঁকতে শুরু করেন। অনেকেই মাছটিকে দেখতে ভিড় করেন। কৌতূহলবশত উঁকিঝুঁকি মেরে যান পথচলতি মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মাছের দর। তারপর ওই মাছটিকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
এদিকে মাছটিকে কাটার সময়ে রীতিমতো ভিড় জমে যায়। প্রথমে আশুগঞ্জ চকবাজারে মাছটির দাম ঠিক করা হয় দেড়লাখ টাকা। পরে আশুগঞ্জে বিক্রি করতে না পেরে তাকে নিয়ে ভৈরব ফেরিঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে ৫৫ হাজার টাকা দর ওঠে মাছটির।