আক্রান্তের সংখ্য়া ৮০,২৭০। আর মৃতের সংখ্য়া ২,৯৮১। গত আড়াই মাসে এই হল চিনে করোনাভাইরাসে স্কোর। যদিও আক্রান্ত বাকি দেশগুলোকে ধরলে করোনায় মৃতের সংখ্য়া মোট ৩,১০০। গোটা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্য়া ৯০হাজার ছাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ৯১,১২৩তে। তাই নিশ্চিন্তে আর থাকা যাচ্ছে না। চিনের ন্য়াশানাল হেল্থ কমিশন শুধু মঙ্গলবারেই নতুন করে ১১৯ জন আক্রান্তের খোঁজ পেয়েছে।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে ভারতের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। সোমবার দিল্লি ও তেলেঙ্গানায় দুজনের শরীরে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এদেশে এই নিয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্য়া দাঁড়াল ৬।
জানা গিয়েছে দিল্লির ওই বাসিন্দা সম্প্রতি ইতালি গিয়েছিলেন। তিনি ভিয়েনা হয়ে দিল্লি ফেরেন। যেহেতু ভিয়েনায় করোনার প্রকোপ সেভাবে নেই বললেই চলে, তাই বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্য়ক্তির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়নি বিমানবন্দরে। যদিও বাড়ি ফেরার পর তাঁর করোনা-সংক্রমণ ধরা পড়ে। আর তারপরেই আতঙ্ক ছড়ায়। ওই ব্য়ক্তির সংস্পর্শে আসা এক পরিবারের ৬ জনের শরীরে করোনার বেশ কিছু উপসর্গ পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা প্রত্য়েকেই আগরার বাসিন্দা। হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তাঁদের।
এদিকে এয়ার ইন্ডিয়ার যে বিমানে ভিয়েনা থেকে ফিরছিলেন সেই বিমানের কর্মীদের বাড়িতে ১৪দিন পৃথক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়। আতঙ্ক ছড়ানোয় নয়ডার দুটি স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য় বন্ধ করা হয়েছে। ওই দুই স্কুলের অন্তত ৪০ জন পড়ুয়াকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য় ১৪ দিন পৃথক রাখা হয়েছে। দিল্লি ও গুরুগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে অভিভাবকদের উদ্দেশে সতর্কতামূলক নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
অন্য়দিকে তেলেঙ্গানার যে ব্য়ক্তির শরীরে করোনার উপসর্গ ধরা পড়েছে, তিনি সম্প্রতি দুবাই থেকে ফিরেছিলেন। যে বিমানে তিনি দুবাই থেকে ফেরেন, ইন্ডিগোর সেই কর্মীদের পর্যবক্ষণে রাখা হয়েছে। এমনকি, ফেরার পথে বেঙ্গালুরুর যে এলাকায় তিনি ছিলেন, সেখানকার বাসিন্দাদের ওপর কড়া নজর রাখছে প্রশাসন।