১০ মাসে মৃত ১০ লক্ষ, করোনা বিশ্বে মৃত্যু মিছিল কোথায় শেষ হবে উদ্বেগ রাষ্ট্র সংঘের

  • করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১০ লক্ষ 
  • মনখারাপ করা মাইল ফলক বলল রাষ্ট্র সংঘ
  • সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে
  • আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি এই দেশে 
     

Asianet News Bangla | Published : Sep 29, 2020 5:24 AM IST / Updated: Sep 29 2020, 11:10 AM IST

গত জানুয়ারি মাস থেকেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে বিশ্ব। দীর্ঘ ৯ মাসের লড়াইতেও বাঁচানো যায়নি লক্ষ লক্ষ মানুষকে। একটি গবেষণা বলছেন এখনও পর্যন্ত মারাত্মক ছোঁয়াচে এই ভাইরাস ১০ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়েনিয়েছে। জন হপকিন্স বিশ্ব বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে মৃতদের অধিকাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল আর  ভারতের বাসিন্দা। মোট মৃতের সংখ্যার ৫০ শতাংশই এই তিন দেশের মানুষ ছিলেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর প্রকৃত ছবি আরও ভয়ঙ্কর। রাষ্ট্র সংঘের সেক্রেটারি অ্যান্তেনিও গুতেরেস একটি একটি যন্ত্রণাদায়র মাইল ফলক বলে চিহ্নিত করেছেন। তিনি আরও বলেন একটি একটি যন্ত্রণাদায়ক পরিসংখ্যনও। তবেই এর বিরুদ্ধে আমাদের এখনও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অতিমারিতে যাঁরা স্বজনদের হারিয়েছেন তাঁদের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্র সংঘের সেক্রেটারি। 

গত ডিসেম্বর মাসে চিনে উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায়। তারপর ১০ মাসে মৃতের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যন অনুযায়ী মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ১৮৮টি দেশ। এখনও পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ৩২ মিলিয়ন মানুষ। সংক্রমণ রুখতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই লকডাউনের পথে হেঁটেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি জব্দ করা যায়নি ছোঁয়াচে এই জীবাণুকে। এরমধ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে এখনও সচেতন না হলে মৃতের সংখ্যা ২০ লক্ষে পৌঁছে যেতে পারে।

বিশ্বল স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। এই দেশে মৃত্যু হয়েছে ২০৫,০০০ জনের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। মৃতের সংখ্যা ১৪১,৭০০। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। মৃতের সংখ্যা ৯৬,৩১৮। করোনা আক্রান্ত বিশ্বের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির ক্রমতালিকায় এখনও পর্যন্ত প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৭০ লক্ষেরও বেশি, যা বিশ্বের মোট পাঁচ ভাগের বেশি। জুলাই মাসের পর আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমছিল। কিন্তু বর্তমানে এই দেশটি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের মুখোমুখি হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অগাস্টে আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকার পর সেপ্টেম্বর থেকে আবারও তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। অন্যদিকে সেপ্টেম্বরের প্রথম থেকেই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছ। চলতে মাসের প্রথম দিকে গড় ৯০ হাজারেও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলন। 


করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ হটস্পট হিসেবে উঠে এসেছে ভারতের নাম। বর্তমানে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ লক্ষেরও বেশি। জনসংখ্যার তুলনায় এই দেশে মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথম হটস্পট হিসেবে এখন রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম। লাতিন আমেরিকার দেশগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রাজিল। তবে আর্জেন্টিনায় দ্রুত হারে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। মারাত্মক ছোঁয়াচে এই জীবাণুর হাত থেকে বাঁচতে প্রতিষেধকের অপেক্ষার রয়েছে গোটা বিশ্ব। 

Share this article
click me!