চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর - এই তিনমাসে বিশ্বের ১৪৯টি দেশে ১২০০০টিরও বেশি 'সরকার-সমর্থিত' হ্যাকিং-এর প্রচেষ্টা হয়েছে। অন্তত এই কটি ক্ষেত্রে গুগল সংস্থা ব্যবহারকারীদের সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। এর মধ্যে শুধু ভারতেই ৫০০ জনের কাছে সতর্কবার্তা এসেছে। এমনটাই জানিয়েছে গুগল-এর 'থ্রেট অ্যানালিসিস গ্রুপ' বা টিএজি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তানে ১০০০
গুগল সংস্থা বা তার ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট সরকারি মদতে হ্যাক করার চেষ্টা করা হলে তা প্রতিরোধ করাই টিএজির কাজ। সদ্য প্রকাশিত এক ব্লগে তারা জানিয়েছে, গত দুই বছরেও এই সময়কালে সংখ্যাটা একই ছিল। ভারতের মতো কানাডা, সৌদি আরব, ইরান, তুরস্ক, মিশর, জাপান, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ ও আরও কয়েকটি দেশে ৫০০ টি করেই সতর্কবার্তা পাঠাতে হয়েছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, লাওস এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় এই সংখ্য়াটা একেবারে দ্বিগুণ, ১০০০। টিএজি আরও জানিয়েছে মোট ৫০টি দেশ থেকে ২৭০টি এই রকম সরকারি মদতপ্রাপ্ত হ্যাকিং গোষ্ঠীকে তারা চিহ্নিত করেছে। তাদের উপর নজর রাখা হচ্ছে।
কী কারণে হ্যাক করা হয় কারোর অ্যাকাউন্ট?
টিএজি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিভিন্ন কারণেই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়ে থাকতে পারে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, বৌদ্ধিক সম্পত্তি চুরি, সরকার-বিরোধী এবং মানবাধিকার কর্মীদের উপর নজর রাখা, সাইবার-আক্রমণ চালানো, ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া এই রকম অনেক লক্ষ্যেই হ্যাক করা হয়।
কাদের নিশানা করে হ্যাকাররা?
গুগল জানিয়েছে, মোটামুটিবাবে সকলের অ্যাকাউন্টই হ্যাক করা হতে পারে। তবে বেশি নিশানা কর হয়, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ব্যবহারকারীদের ক্রেডেনশিয়াল চেয়ে মেল পাঠানো হয়েছে, সেখান থেকেই তাদের অ্যাকাউন্ট হাইজ্যাক করা হয়েছে।