ঠোক্কর খেয়ে নয়, স্মার্টফোনে কথা বললে মাথায় গজাবে শিং, বলছে সমীক্ষা

  • স্মার্টফোন এখন সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ
  • অতিরিক্ত মাত্রায় স্মার্টফোন ব্যবহার করার কুফল কম-বেশি সকলেরই জানা
  • সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এক বিস্ময়কর তথ্য
  • অতিরিক্ত মাত্রায় স্মার্টফোনে কথা বললে মাথায় গজাবে শিং

debojyoti AN | Published : Jun 22, 2019 12:41 PM IST

স্মার্টফোন ব্যবহারিক দিক থেকে যে কতখানি কার্যকর সেটা আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু স্মার্টফোনের গুরুত্ন মানুষের জীবনে কেবল আর ব্যবহারিক দিকেই সীমাবদ্ধ নয়। স্মার্টফোন এখন সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। 

কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় স্মার্টফোন ব্যবহার করার কুফল কম-বেশি সকলেরই জানা, কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এক বিস্ময়কর তথ্য। গবেষণায় দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত মাত্রায় স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে নবপ্রজন্মের মস্তিষ্কের মধ্যে গজিয়ে উঠেছে একটি শিং! গজিয়ে ওঠা এই শিং-ই নাকি মানুষের মাথাকে সামনের দিকে একটু একটু করে ঝুঁকিয়ে ফেলছে। 

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের শানশাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে প্রকাশ করা হয়েছে, আধুনিক যেকোনও ধরণের প্রযুক্তি ব্যবহারের সময়ে মানুষের মাথা সবসময় সামনের দিকে ঝুঁকে থাকে। আর এর ফলেই মাথার পিছনের দিকে অজান্তেই গজিয়ে উঠছে একটি হাড়। মস্তিষ্কের পিছনের দিকে থাকা টেনডন ও লিগামেন্টের সঙ্গে সংযোগ রেখেই ধীরে ধীরে শিং-এর আকারে বাড়ছে এই হাড়। বিষয়টি প্রকাশ্য আসতেই রীতি মতো হইচই পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে নানারকম নামকরণও করা হয়েছে এই হাড়-এর। 'হেড হর্ণ', 'ফোন বোন' প্রভৃতি নানা নামেই ডাকা হচ্ছে এই হাড়কে। 

এখানেই শেষ নয়, শরীরে এই নয়া সংযোজন কিন্তু মানবদেহের সার্বিক গঠনের সংজ্ঞাই বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা, যার ফলে অদূর ভবিষ্যতে অল্প বয়সেই ক্রনিক মাথা ব্যথার শিকার হতে পারেন যুবসমাজ। 
 

Share this article
click me!