জোরদার আঠায় স্ত্রীর যৌনাঙ্গ আটকে দেওয়ার চেষ্টা।
গার্হস্থ হিংসার দায়ে গ্রেফতার স্বামী।
স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যভিচারের অভিযোগ।
স্বামীর সাফাই বিয়ে বাঁচাতেই এই কাজ করেছেন তিনি।
বর্তমান সময়কে বলা হয় অত্যাধুনিক যুগ। কিন্তু বাইরে থেকে সমাজ যতই আধুনিক হোক না কেন, ভেতরে ভেতরে এখনও মধ্যযুগেই পরে রয়েছে বর্তমান পৃথিবী। এখনও অনেক জায়গাতেই দগদগে হয়ে রয়েছে পুরুষতান্ত্রিকতা। আরও একবার তার প্রমাণ পাওয়া গেল। অন্তত চারজন পুরুযের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহে ফেবিকুইকের মতো আঠা দিয়ে স্ত্রীর গোপনাঙ্গ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করল কেনিয়ার এক ব্যক্তি।
৩৬ বছরের ডেনিস মুমো-র অভিযোগ, তিনি ব্যবসার কাজে বাড়ির বাইরে গেলেই তাঁর স্ত্রী একাধিক পুরুষের সঙ্গে মিলিত হতেন। বিভিন্ন অচেনা ব্যক্তিকে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা পাঠাতেন, এমনকী নগ্ন ছবিও পাঠাতেন। স্ত্রীর মোবাইল ফোনে এই বিষয়ে স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি ডেনিস-এর। সম্প্রতি, সে রোয়ান্ডায় বিজনেস ট্রিপে যাওয়ার আগে ফেবিকুইক-এর মতো সুপার গ্লু বা জোরালো আঠা দিয়ে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ আটচকে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
ডেনিস কেনিয়া ছাড়ার পরই গোপনাঙ্গে তীব্র ব্যথা শুরু হয় তার স্ত্রী-র। ওই অবস্থায় স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি হন ওই মহিলা। সেখান থেকেই পুরো বিষয়টা জানাজানি হয়। কেনিয়া-র পুলিশ ডেনিস-এর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা, যৌন হেনস্থা এবং প্রজনন অঙ্গের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। কেনিয়ার ফেরার পরই তাকে গ্রেফতার-ও করা হয়েছে।
ডেনিস-এর সাফ কথা, তিনি 'বিয়ে বাঁচাতে'ই এই কাজ করেছেন। তাঁর আইনজীবী ডেনিসের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যাভিচারের পাল্টা অভিযোগ এনেছেন। কেনিয়ায় ব্যাভিচারের শাস্তি হল ১০০টি বেত্রাঘাত। এবার আইন কার পক্ষে থাকে, নাকি স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সাস্তি পান, সেটাই দেখার।