IndiGo বা SpiceJet-এর কাছে এমন প্লেন নেই যা এই দেশগুলিতে সরাসরি উড়ান পরিষেবা দিতে পারে। তাই রুটে একটি স্টপ যোগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে ফের সক্রিয় অপারেশন গঙ্গা। এবার গতি বাড়ল এই কর্মসূচির। অপারেশন গঙ্গায় যোগ দিল ইন্ডিগো, স্পাইসজেট ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। ইউক্রেন থেকে পালিয়ে রোমানিয়া ও হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করেছেন প্রচুর ভারতীয়। তাদের সেই দেশগুলি থেকে ফিরিয়ে আনবে অপারেশন গঙ্গা।
উল্লেখ্য, ২৭ তারিখ অপারেশন গঙ্গা মিশনের হাত ধরে বুখারেস্ট থেকে নিরাপদে ভারতে এসে পৌঁছয় ভারতীয়দের একটি দল। নিরাপদে ফের দেশে পা রাখেন ২৫০ জন ভারতীয়। অপারেশন গঙ্গার এই ফ্লাইটটি ২৫০ ভারতীয় নাগরিককে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি. মুরালীধরন দিল্লি বিমানবন্দরে বুখারেস্ট (রোমানিয়া) হয়ে ইউক্রেন থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া ভারতীয় নাগরিকদের স্বাগত জানান। ছবিও পোস্ট হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে IndiGo বা SpiceJet-এর কাছে এমন প্লেন নেই যা এই দেশগুলিতে সরাসরি উড়ান পরিষেবা দিতে পারে। তাই রুটে একটি স্টপ যোগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। IndiGo ইস্তাম্বুল হয়ে উভয় দেশে একটি Airbus A321 বিমান ব্যবহার করবে, সেরকম ভাবেই SpiceJet একটি বোয়িং 737 MAX 8 বিমান ব্যবহার করবে এবং ফেরার পথে জর্জিয়ার কুতাইসিতে থামবে।
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসও অপারেশন গঙ্গায় যোগ দিয়েছে এবং দুপুর ১.৫০ মিনিটে মুম্বই থেকে বুখারেস্টে একটি ফ্লাইট পাঠায়। এদিন এয়ার ইন্ডিয়ার টুইটার হ্যান্ডেল থেকে অপারেশন গঙ্গার একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই ব্যাপক ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অন্যদিকে ভারতে ফেরত আসা নাগরিকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে দেখা গিয়েছে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে। বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন বহু পড়ুয়া সহ প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় নাগরিক এখনও ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। যুদ্ধের তৃতীয়দিনে প্রায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। রাজধানী কেয়েভে গতকালই পা রেখেছে রুশ সেনা। প্রায় তিন দিক থেকে রাশিয়া ঘিরে ফেলেছে ইউক্রেনকে। এখনও পর্যন্ত ন্যাটো বাহিনী সেভাবে ইউক্রেনকে সহযোগিতা করেনি। অথচ ন্যাটোর সদস্যপদ যাতে ইউক্রেন গ্রহণ না করে তার জন্যই রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়াকে চাপে ফেলতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকা নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি রাশিয়া।