G 7 Summit 2022: সাতটি দেশের সম্মেলনের মূল অ্যাজেন্ডা- কথা হতে পারে যুদ্ধ ও খাদ্য সংকট নিয়ে

রবিবার থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনের G7 সামিট ২০২২। জার্মানিতে এই বিশেষ আলোচনা সভা ঘিরে নজর রয়েছে বিশ্বের বাকি দেশগুলির।

Saborni Mitra | Published : Jun 26, 2022 4:20 PM IST

রাশিয়া ইউক্রেন হামলার পর এই প্রথম বিশ্বের সাতটি শীর্ষস্থানীয় আর্থনীতির দেশের রাষ্ট্রপ্রধানতা একতিত্র হয়েছে। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনের G7 সামিট ২০২২। জার্মানিতে এই বিশেষ আলোচনা সভা ঘিরে নজর রয়েছে বিশ্বের বাকি দেশগুলির।  বিশেষ করে রাশিয়া ও ইউক্রেনের নজর রয়েছে G7 সামিট ২০২২এর দিনে। যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও শক্তির সংকট নিয়ে এবার এই সভায় আলোচনা শুরু হয়েছে। 

ব্যাভারিয়ান আল্পসের শ্লোস এলমাউতে G7 সামিট ২০২২ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় এটি আগের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সম্মেলনে জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়েও আলোচনা হবে বলে শোনা গেছে। জানুয়ারিতে ব্রিটেনে G7 প্রেসিডেন্স নেওয়ার পর জার্মানিতে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সম্মেলন বিশ্বের অগ্রগতির লক্ষ্য নির্ধারণ করবে। 

G7 সামিট ২০২২ এর থিম হল- পৃথিবীকে বসবাস যোগ্য গ্রহ তৈরি করা। বিশ্বের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। স্বাস্থ্যকর জীবন ও নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগের বিষয়গুলি নিশ্চিত করা। বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘ রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব জুড়ে খাবারের সংকট তৈরি হবে। G7 সামিট ২০২২ নেতারা খাদ্য নিরাপত্তা ও ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দাম মোকাবিলার নতুন প্রতিশ্রুতি দিতে পরেন বলেও আশা করা হচ্ছে। 

G7 সামিট ২০২২ কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জার্মানির বেশ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ চলছে। সামাজিক ন্যায় বিচার চেয়ে ও  জ্বালানি হিসেবে খনিজ তেলের ব্যবহার বন্ধের দাবিতে মিউনিখেও প্রতিবাদ দেখিয়েছেন অনেক বিক্ষোভকারী। 

মনে করা হচ্ছে, G7 সামিটের নেতারা যুদ্ধের সুদূর প্রসারি ফলাফল নিয়েও আলোচনা করতে পারেন। বিশ্বের সাতটি ধনী দেশে রাশিয়ার সেনা পাঠানোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয় বিয়ে আলোচনা করতে পারে। তবে ভারত আর জার্মানি এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ প্রথম থেকেই ভারত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিপক্ষে হলেও কোনও নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন,  জলবায়ু, শক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন, পরিবেশ, লিঙ্গ সমতা এবং গণতন্ত্রের মতো সাময়িক ইস্যুতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সাথে "ফলপ্রসূ আলোচনার" অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও ড্রাঘি এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। সাতটি রাজ্য ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, সেনেগাল এবং আর্জেন্টিনাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

Read more Articles on
Share this article
click me!