২০০৬ সালের জুনে মাইক্রোসফ্টে যোগ দিয়েছিলেন এই ভারতীয় টেকি। তবে বেশিদিন সেই চাকরি করেননি তিনি। কাজ করেছেন ইয়াহুতেও।
একেবারে টুইটারেই ঝড় উঠেছে টুইটারের(Twitter) নতুন সিইও(CEO) ভারতীয় বংশদ্ভুত পরাগ আগরওয়ালকে(Parag Agrawal) নিয়ে। এমনকী অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও চলছে বিস্তর আলোচনা। এদিকে ২০০৬ সালের জুনে মাইক্রোসফ্টে যোগ দিয়েছিলেন এই ভারতীয় টেকি। তবে বেশিদিন সেই চাকরি করেননি তিনি। কাজ করেছেন ইয়াহুতেও। তবে সেখানও বেশিদিন মন টেকেনি তাঁর। ২০১১ সালের অক্টোবরে যোগ দেন টুইটারে। ২০১৭ সালে মাইক্র-ব্লগিং সাইট টুইটারের চিফ টেকনোলজি অফিসার পদে বসেন পরাগ। সেই সময় কোম্পানির প্রযুক্তিগত রণকৌশল, কোম্পানিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় নেতৃত্ব দেওয়া-সহ নানা কাজ একা হাতে সামলাতে হত তাঁকে ৷ এবার বসলেন সরাসরি নতুন চিফ এগজিকিউটিভ অফিসারের পদে।
পরাগ আগরওয়ালকে নিয়ে এত আলোচনা হলেও আপনি কী জানেন তার বার্ষিক বেতন কত? আজ সেই বিষয়েই খানিক আলোচনা করা যাক। সোমবার এক বিবৃতিতে সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডর্সি। তিনিই পরবর্তী সিইও হিসাবে পরাগের নাম ঘোষণা করেন। এদিকে পরাগকের সিইও হওয়ার পরেই, ভারতীয়রা তাঁর বেতন (Parag Agrawal’s Salary), র্যাঙ্ক এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ে জানতে ভিড় করতে থাকেন গুগলে। সূত্রের খবর, বর্তমানে পরাগের বার্ষিক বেতন ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা৷ এছাড়াও প্রতিবছর সংস্থার তরফে তাঁকে বোনাস দেওয়া হবে। সঙ্গে থাকছে ১২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের স্টক কমপেনসেশন৷ ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৯৩.৩ কোটি টাকা৷ যা দেখে চোখ ছানাবড়া হচ্ছে অনেকেরই।
আরও পড়ুন- বিশালাকার গণবিবাহে উৎসবের আমেজ বর্ধমানে, গাঁটছড়া বাঁধলেন ১০১ জোড়া পাত্র-পাত্রী
এদিকে গুগলের মাথায় বসে থাকা আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত টেক সিইও সুন্দর পিচাইয়ের মতোই পরাগ আগরওয়ালও (Profile of new Twitter CEO) আইআইটি-র ছাত্র৷ তবে টুইটারের শীর্ষস্থানের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে এলেও সুন্দর পিচাই বা সত্য নাদেল্লার মতো তিনি খুব পরিচিত নাম নন। আর এখানেই কৌতূহল বাড়তে থাকে সাধারণ মানুষের মনে। শুধু ভারতীয়রা নন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই টেকির পরিচয় জানতে একাধিক সার্চ ইঞ্জিনে গত দুদিন ধরেই ভিড় করছেন বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ। তবে দেশের মানুষের মাথায় এই নতুন পালক যুক্ত হওয়ায় খুশির হাওয়া ভারতীয় প্রযুক্তি মহলেও। তবে আগামীতে কতটা দক্ষতার সঙ্গে এই গুরু দায়িত্ব পরাগ সামলান এখন সেটাই দেখার।