ভিসা ভারতের আনুষ্ঠানিক ও অ-আনুষ্ঠানিক নীতিগুলি নিয়ে উদ্বেগ করেছে ন্যাশানাল পেমেন্ট কর্রোপেশনের অব ইন্ডিয়া বা এনপিসিআইর কাছে।
রুপে ( RuPay) কার্ডের বিরুদ্ধ মার্কিন প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাল ভিসা কার্ড ( (Visa) )। ভিসার অভিযোগ রুপে কার্ডকে অনৈতিকভাবে সুবিধে পাইয়ে দিচ্ছে ভারত সরকার। দেশের বাজারে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে ভারত সরকার রুপে কার্ড-কে সাহায্য করছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) রুপে কার্ডের ব্যবহার বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রোমোশনে তিনিও অংশ গ্রহণ করছেন। রুপে কার্ডের ব্যবহার বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয়তাবাদকেও ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ।
মার্কিন সরকারের মেমোতে দেখা যায় যে ৯ অগাস্ট বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিন তাই ও সিইও আলফ্রেড কেলিসহ কোম্পানির নির্বাহীদের মধ্যে একটি বৈঠকের সময় ভিসা ভারতের ভারতের বাজারে ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগেই রুপে কার্ডের জনপ্রিয়তায় উদ্বিগ্ন হয়ে মাস্টারকার্ডইনকও ইউএসটির-এর কাছে একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী এসইটিআরএর কাছে গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান হয়েছে। মোদী স্থানীয় নেটওয়ার্কগুলির ব্যবহারের জন্য জাতীয়তাবাদ ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ সংস্থার।
ভিসা ভারত সরকারেরঅনৈতিক নীতিগুলি নিয়ে উদ্বেগ করেছে ন্যাশানাল পেমেন্ট কর্রোপেশনের অব ইন্ডিয়া বা এনপিসিআইর কাছে। এটি একটি অলাভজনক সংস্থা যা রুপে চালায়। অন্যান্য দেশীয় ও বিদেশি ইলেকট্রনিস্ক পেমেস্ট কোম্পানিগুলির তুলনায় এটি সক্রিয়। এইএসটিআর মেমোতে বলা হয়েছিল সংস্থাটি খুব তাড়াতাড়ি একটি বৈঠক ডাকবে। সেখানে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তবে ভিসা ইউএসটিআর ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যালয় এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি।
দ্রুত বর্ধনশীল অর্থপ্রদানের বাজারে ভিসা ও মাস্টারকার্ডের প্রতি চ্যালেঞ্জ তৈরি করে মোদী বছরের পর বছর ধরে স্বদেশী রুপে-কে প্রচারের আলোতে নিয়ে আসছেন। ২০২০ সালে নভেম্বর পর্যন্ত ভারতে ৯৫২ মিলিয়ন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে রুপে অংশীদারিত্ব ছিল ৬৩ শতাংশ। ২০১৭ সালে এই সংস্থাটির অংশীদারিত্ব ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ।
কেলি মে মাসে বলেছিলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই উদ্বেগ ছিল যে রুপে ভিসাকে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলবে। ভিসের ক্ষেত্রে তা সমস্যা তৈরি করবে বলেও আশঙ্কা করেছেন। কিন্তু ভিসা এখনও পর্যন্ত ভারেতর বাজারে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভিসা গোটা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুর রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে একটি বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রু-পেকে ব্যবহার করার কথা বলেছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি দেশপ্রেমিক হওয়ার ভাবনাও জুড়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন দেশকে রক্ষা করার জন্য সকলের রুপে কার্ড ব্যবহার করা উচিৎ। যা নিয়ে সেই সময়ই সংস্থার পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল।
যাইহোক অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন গত বছর বলেছিলেন রুপে একমাত্র কার্ড যা ব্যঙ্কগুলির প্রচার করা উচিৎ। সরকার পাবলিক ট্রান্সপোর্ট পেমেন্টের জন্য একটি রুপে ভিত্তিক কার্ডও প্রচার করছে। যদিও বর্তমানে রুপে ভারতের কার্ডের মাধ্যমে আধিপত্য করছে। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ লেনদেনই হচ্ছে ভিসা কার্ড আর মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে। এইএসটিআর-এর দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার রুপে ব্যবহার বাড়ানোর জন্য ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির ওপর চাপ তৈরি করছে।
Parag Agrawal: টুইটারের নতুন CEO পরাগ আগরওয়াল, এক নজর বোম্বে IIT-র ছাত্রের ঝকঝকে কর্মজীবনে
IPL 2022: ধোনি,কোহলি,শর্মা খেলবেন পুরনো দলেই, চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছেন আরও ক্রিকেটার
TMC: জাতীয় রাজনীতিতে কি 'একঘরে' তৃণমূল, নাম নেই ১২ সাংসদ সাসপেন্ডের যৌথ বিবৃতিতে