দেশজুড়ে চরম অর্থনৈতিক মন্দা
চারিদিকে অনাহার, নিদারুণ অর্থকষ্ট
মরার উপর খাঁড়ার ঘা কোভিড মহামারি
তারমধ্যেই ভাগ্যের চাকাটা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল এক মৎসজীবী গ্রামের
দেশের অর্থনীতির হাল খুবই খারাপ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনাহার-অর্থকষ্টের নিদারুণ সব ঘটনা শোনা গিয়েছে। মরার উপর খাড়ার ঘা-এর মতো বিপদ বাড়িয়েছে কোভিড মহামারি। তবে গত কয়েক মাসে ধরে যেন ভাগ্যের চাকাটা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে ভেনেজুয়েলার এক মৎসজীবী গ্রামের বাসিন্দাদের। সুদ্রের পারে মাঝে মাঝেই ভেসে আসছে সোনা ও রুপার গয়না, অলঙ্কার এবং ছোট ছোট সোনার চাকতি।
ভেনেজুয়েলার ছোট্ট মৎসজীবী গ্রাম গুয়াকা। গত সেপ্টেম্বর মাসে সমুদ্র সৈকতে প্রথম এই গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছিলেন, ইয়োলমান ল্যারেস নামে ওই গ্রামের এক ২৫ বছরের যুবক। সেটা ছিল ভার্জিন মেরির ছবি খোদাই করা একটি সোনার পদক। নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথমে ল্যারেস বিশ্বাসই করতে পারেননি, তাঁর সারা শরীর উত্তেজনায় কাঁপছিল। তারপর ধাতস্থ হতে তিনি আনন্দে চিৎকার করে উঠেছিলন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ঘটনাবিহীন জীবনে এই প্রথম 'স্পেশাল' কিছু ঘটেছে।
ল্যারেস-এর পর থেকে কয়েক ডজন গ্রামবাসী ওই সমুদ্র সৈকত থেকে সোনা বা রুপার মূল্যবান জিনিস পেয়েছেন। বেশিরভাগের কপালেই জুটেছে সোনার আংটি। কপাল খুলে গিয়েছে গ্রামবাসীদের। প্রচুর দামে তাঁরা ওই সোনা-রুপার অলঙ্কারগুলি বিক্রি করছেন। কোনও কোনওটির জন্য ১,৫০০ মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার টারা বেশিও দাম মিলেছে। এক কথায় সমুদ্র মালামাল করে দিয়েছে তাদের।
কিন্তু কোথা থেকে এল এই গুপ্তধন? জল্পনা রয়েছে এইসব বহুমূল্য অলঙ্কার সম্ভবত ক্যারিবিয়ান জলদস্যুদের গুপ্তধন। কোনও ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে ভেসে উঠে এসেছে সমুদ্রের পারে। তবে ক্রিসমাস-এর আগ দিয়ে এই রহস্যময় ধনের পিছনে ভগবানের হাত রয়েছে বলেও দাবি উঠছে। স্থানীয় এক মৎসজীবী যেমন ধনলাভের পর বলেছেন, তাঁদের মতো গরীব মানুষদের সহায়তার জন্য ঈশ্বর, তাঁর কর্মসূচি স্থির করে নিয়েছেন। এই ধন ঈশ্বর প্রেরিতই।