কালাপানি নেপালের অংশ। সেখান থেকে ভারতীয় সেনা সরিয়ে নিতে বলে হুমকি দিল নেপাল। রবিবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি জানিয়েছেন, ভারত, নেপাল ও তিব্বতের সংযোগস্থলে কালাপানি অবস্থিত। কিন্তু এই কালাপানি কখনই ভারতের অংশ ছিল না। এটা নেপালের অংশ। তাই ভারতের উচিত যত দ্রুত সম্ভব এখান থেকে সেনা তুলে নেওয়া। ভারতের নয়া মানচিত্রের বিরোধিতা করে নেপালের স্কুল পড়ুয়ারা রাস্তায় নেমে বিরোধিতা করে। তারা জানায়, কালাপানি নেপালের অংশ ছিল ও থাকবে। নেপালের স্কুল পড়ুয়ারা ভারত বিরোধী স্লোগান দেয়।
কালাপানি নিয়ে রবিবার প্রথমভাবেরর জন্য জনসমক্ষে ভাষণ দেন নেপালের প্রধাবমন্ত্রী কেপি ওলি। তিনি জানিয়েছেন, নেপাল সরকার দেশের এক ইঞ্চি জমি কাউকে ছেড়ে দেবে না। প্রতিবেশী দেশের উচিত সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া। চলতি মাসের শুরুতে ভারতের তরফে দাবি করা হয়েছিল, সদ্য প্রকাশিত মানচিত্রে নেপালের সঙ্গে তাদের সীমান্তের কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে কালাপানিকে ভারতের সার্বভৌম অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর তাতেই বুধবার নেপাল আপত্তি জানায়।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানিয়েছেন, 'আমাদের মানচিত্রে সঠিকভাবে ভারতের সার্বভৌমত্ব অঞ্চল নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বর্তমান ব্যবস্থার অধীনে নেপালের সঙ্গে ভারতের সীমানা নির্ধারনের মহড়া চলছে। আশা করব, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে। রবীশ কুমার জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে অশান্তি বা বৈরিতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলা উচিত।
রবিবারের এক বিবৃতিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী অলি বলেছেন , 'আমাদের সরকার সব সময় জাতীয় অখণ্ডতাকে সমর্থন করে। আমাদের সরকারকে সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই। কিন্তু দেশপ্রেমের নাম করে অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ড চালানো ঠিক নয়। আমরা কূটনৈতিকভাবে এই সমস্যার সমাধান করব।'