সকালে সরকার ভাঙার সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর, বিকেলে সাধারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণা নেপালে

  • আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন
  • দুদফায় হবে ভোট গ্রহণ 
  • জানিয়েছে নেপালের রাষ্ট্রপতির দফতর 
  • কেপি শর্মা ওলি কথা বলেন কর্মকর্তাদের সঙ্গে 
     

Asianet News Bangla | Published : Dec 20, 2020 1:37 PM IST / Updated: Dec 20 2020, 07:11 PM IST

সকালে সরকার ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ, আর বিকেলেই নেপালের সাধারণ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়ে গেল। আগামী বছর দুই দফায় নেপালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণ হবে ৩০ এপ্রিল আর ১০ মে। রবিবার সকালেই মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক ডেকেছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সেই বৈঠকের সরকার ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী প্রস্তাবটি অনুমোদন করেন। তারপরই রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় আগামী বছর দুদফায় নেপালের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এদিন দেশের নিরাপত্তার বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেই একটি বৈঠক করেন। কাঠমান্ডুতে দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনাপ সঙ্গেও কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। 

ম্যারাথন বৈঠকের পরেই ইস্তফা দুই নেতার, তবে কি এবার বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে কংগ্রেসের অন্দরে ...

করোনা টিকা নেওয়ার পরেই বিপত্তি, ভাইরাল ভিডিও দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন নেটিজেনরা ..

সূত্রের খবর গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী একটি কার্যনির্বাহি আদেশ জারি করেছিলেন। কিন্তু সেই আদেশ কোনঠাসা হয়। তখন থেকেই প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছিলেন তিনি সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারানোর পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। কাঠমান্ডু পোস্ট পত্রিকা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ওলি মঙ্গলবার সাংবিধানিক কাউন্সিল আইন সম্পর্কিত যে অধ্যাদেশ জারি করেছেন তা প্রত্যাহার করার জন্য তাঁর ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকেও অধ্যাদেশ প্রতিস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিষ্ণু রিজাল বলেন প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। তিনি সরকার ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। সূত্রের খবর বেশ কয়েক দিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছিল। একই সঙ্গে প্রতিপক্ষরা তাঁর ওপর চাপ তৈরি করছিল। করোনাভাইরাসের কারণে নেপাল অর্থনীতি তীব্র সমস্যায় পড়েছে। সরকার বিষয়গুলি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি চিনা আগ্রাসনেরও অভিযোগ উঠেছে। নেপাল সরকার তা স্বীকার না করলেও নেপালের সাধারণ নাগরিকরা অসন্তোষ জানাচ্ছিলেন। একটি সূত্রের দাবি কেপি শর্মা ওলি জনপ্রিয়তাও হারিয়েছিলেন। আর সেই কারণেই তিনি সরকার ভেঙেদেন বলেই মনে করছেন একটি পক্ষ। নেপালের সধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আগামী ২০২২ সালে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের ওরফে পুষ্প কামাল দহালের সঙ্গে ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছিল। সেখান থেকেই প্রধানমন্ত্রী এজাতীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। 

Share this article
click me!