উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকটি বড় সেনা কনভয় সীমান্তে জড়ো হয়েছে। সেই সঙ্গে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টারও প্রচুর পরিমাণে জড়ো করা হয়েছে।
সামনে এল নয়া উপগ্রহ চিত্র (New satellite images)। ইউক্রেনের সীমান্তের (Troops Near Ukraine) আশেপাশে রাশিয়ান জেট (Russian Jets) মোতায়েনের নতুন স্যাটেলাইট চিত্র উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। দেখা গিয়েছে গত ৪৮ ঘন্টায় সামরিক তৎপরতা বেড়েছে ইউক্রেন সীমান্তে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে চলেছে এমন আশঙ্কার মধ্যেই এই বিশাল পরিবর্তন এসেছে দুই দেশের সীমান্তে। গত ৪৮ ঘন্টায় তোলা ম্যাক্সারের উচ্চ-রেজোলিউশন স্যাটেলাইট চিত্রগুলি (Maxar's high-resolution satellite images) বেলারুশ, ক্রিমিয়া এবং পশ্চিম রাশিয়ায় রাশিয়ান সৈন্যদের একটি বিশাল মোতায়েনের প্রমাণ দিচ্ছে।
উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকটি বড় সেনা কনভয় সীমান্তে জড়ো হয়েছে। সেই সঙ্গে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টারও প্রচুর পরিমাণে জড়ো করা হয়েছে। ছবিগুলোর সামনের অবস্থানে গ্রাউন্ড অ্যাটাক এয়ারক্রাফট এবং ফাইটার-বোমা জেট মোতায়েনও দেখায়। একাধিক স্থল বাহিনী ইউনিটকেও কনভয়ে দেখা গিয়েছে। ১০ই ফেব্রুয়ারি ক্রিমিয়ার ওকটিয়াব্রস্কয় এয়ারফিল্ডে প্রচুর সংখ্যক সেনা এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম দেখা গেছে।
'যন্ত্র বিচারপতি' চিনে, ৯৭ শতাংশ নির্ভুল বিচার করতে সক্ষম বলে দাবি
Santa Claus House: নিলামে উঠতে চলেছে সান্তাক্লজের বাড়ি, চাইলে ঘুরে আসতে পারেন আপনিও
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে কোনও সময়ই রাশিয়া (Russia) ইউক্রেনে বড়সড় হামলা চালাতে পারে। হোয়াইট হাউসের (White House) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পাশে এক লক্ষেরও বেশি রুশ সেনা মোতায়েন রয়েছে। রাশিয়া যেকোনও সময়ই ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে।
রাশিয়ার মিত্র দেশ হিসেবে পরিচিত চিন। এই সময় বেজিংএর শীতকালীন অধিবেশন চলছে। তাই রাশিয়া এই সময়ই কিছুতেই আক্রমণ করবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু ২০ ফেব্রুয়ারি শীতকালীন অলিম্পিক্স শেষ হবে। তার আগেই রাশিয়া যে হামলা চালাবে না তার কোনও নিশ্চিয়তা নেই। তিনি আরও বলেছেন রাশিয়ার রাশিয়া কখন কী করবে একটি একান্তই রাশিয়ার চিন্তাভাবনা। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাখার জন্য দেশের নাগরিকদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
রাশিয়ান নৌবাহিনী ও সৈন্যরা ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে দক্ষিণ পূর্ব ও উত্তর দিক থেকে সম্পূর্ণরূপে ঘিরে ধরে রেখেছে। রাশিয়া প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কখনই ন্যাটোকে প্রবেশ করতে দেবে না। অন্যদিকে পুতিনকে পূর্ব ইউরোপ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে চাইছে আমেরিকা। পেন্টাগন জানিয়েছেন তারা মিত্র পোল্যান্ডকে শক্তিশালী করতে আরও ৩ হাজার সেনা পাঠাবে। তবে জার্মানি জানিয়েছে, তাদের মূল উদ্দেশ্যই হল যুদ্ধ প্রতিহত করা।