'ভারতের বিদেশনীতি অন্য কোনও শক্তিধর দেশ পরিচালনা করে না' এ যেন পতন মুখে হরির নাম ইমরান খানের গলায়

ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারণের দিন আজ। পাকিস্তানে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছিল প্রায় অনেকদিন ধরেই। ইমরান খানের পদত্যাগের জল্পনা  ও ছিল তুঙ্গে। তবে নিজের যদি বাঁচানোর হাজারো চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয় নি।  অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জোর ধাক্কা খায় ইমরান খান এবং স্থির হয় যে শনিবার অর্থাৎ আজ ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট গ্রহণ করা হবে।  এরই মাঝে ইমরান খানের গলায় শোনা গেল এক্কেবারে ভিন্ন সুর। 
 

Riya Dey | Published : Apr 9, 2022 6:11 AM IST / Updated: Apr 09 2022, 01:30 PM IST

ভারত পাকিস্তানের সম্পর্কের অতীত থেকে বর্তমান এ কথা গোটা বিশ্বের জানা। ইমরানের খানের হাতে পাকিস্তানের ক্ষমতা থাকাকালীন ও ভারতকে নানান সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এদিকে বর্তমানে গদি বাঁচানোর লড়াইয়ে একেবারে শেষ কিনারায় এসে পৌঁছেছেন তিনি। সম্প্রতি কিছুদিন আগে তাঁকে এই জটিলতা সৃষ্টির পিছনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতের কথা ও বলতে শোনা গেছে। তবে যদি হারানোর শেষ মুহূর্তে পৌঁছে সেই ইমরান খানের মুখে ও মিললো ভারতের প্রশংসা। 

শনিবারই ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটগ্রহণের দিন। ঠিক তার আগেই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে ইমরান খান ভরতের মহিয়সী প্রশংসা করে বলেন 'ভারতের বিদেশনীটিকে অপর কোনও বিদেশী দেশ পরিচালনা করতে পারে না। আর এটা ভারতের গর্ব।' শুধুমাত্র আরএসএসের মতাদর্শের কারণেই ভারত পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। আদতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মনে করেন যে বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপেই পাক রাজনীতিতে এই অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে এবং সেই কারণেই আজ পতনের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে তাঁর সরকার।  

এদিন দেশের যুব সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে পাক প্রধানমন্ত্রী জানান, 'আমাদের দেশের যুব সমাজই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাঁদের দেশের নেতারা যদি এইভাবে তাঁদের চোখের সামনে বিকিয়ে যান তাহলে তাঁরা কী শিখবে?' পাশাপাশি ইমরান খান মনে করেন যে পাকিস্তানের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়করা বিদেশী শক্তির ষড়যন্ত্রের ফলে বিক্রি হয়ে গেছেন। তিনি মনে করেন যে পাকিস্তানের একটি স্বাধীন বিদেশনীতি থাকা খুবই প্রয়োজন। 

পাশপাশি এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও বিঁধেছেন তিনি। তাঁর সরকারের পতনের মুলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কুটিনীতিকে দায়ী করেছেন তিনি। এদিন ইরান খান জানান, তিনি জানতে পেরেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাঁর দেশের নেতাদের সঙ্গে এসে গোপনে সাক্ষাৎ করা হয়েছে।' বর্তমানে যদি বাঁচাতে ইমরান খানের একমাত্র ভরসা দেশের জনগণ।  তাই এদিন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ইমরান খান। তিনি বলেছেন, 'দেশদাসীর উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা ঠিক কী চান? আমরা বিদেশী শক্তির কাছে দাসত্ব করে কাটাই? আপনাদের নিজেদের স্বাধীনতাকে আপনাদের নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে। তাই আপনারা বেরিয়ে আসুন এবং এই ঘটনার প্রতিবাদ করুন।'

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ইমরান খান এও বলেন যে, 'তিনি আমেরিকা বিরোধী নন ঠিকই তবে একতরফা সম্পর্কের প্রয়োজন তাঁর কাছে নেই। এখানেই শেষ নয়, সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে ও মুখ খুলেছেন তিনি।  এদিন ইমরান খান বলেছেন 'আমি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের রীতিমত ক্ষুব্ধ। ডেপুটি স্পিকার যেখানে ঘটনার তদন্ত করেছিলেন সেখানে সুপ্রিম কোর্টের ও উচিত ছিল তদন করা।' সে যাই হোক অবশেষে ইমরানের খানের ভবিষ্যৎ কোন পথে বাঁক নেয় সেই দিকেই তাকিয়ে এখন ভারত-সহ অন্যান্য দেশ। 
 

Share this article
click me!