
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে এক আত্মঘাতী হামলায় এক ডজনেরও বেশি সেনা নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খাইবার ক্রনিকলস-এর বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে যে, শনিবারের এই হামলাটি উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মীর আলির খাদি বাজারে সংঘটিত হয়েছে। প্রতিবেদনে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, হামলাকারী একজন বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটের গাড়ির কাছে বিস্ফোরক ছুঁড়ে দেয়, যার ফলে ১৩ জন নিহত হয়। আল জাজিরা সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই হামলায় ১৪ জন বেসামরিক নাগরিকসহ কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অস্থির খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হওয়া একক দিনের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার মধ্যে এটি একটি। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি। পাকিস্তান তালেবানের (টিটিপি) একটি গোষ্ঠী হাফিজ গুল বাহাদুর এই আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে কাবুলে তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পাকিস্তানের আওতাধীন অঞ্চলে হিংসা পরপর বাড়ছিল। ইসলামাবাদ বারবার আফগান তালিবানকে পাকিস্তানের উপর হামলা চালানোর জন্য তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ করেছে -- তালিবান এই অভিযোগ অস্বীকার করে চলেছে। ডনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের স্পিনওয়াম তহসিলে এক সন্ত্রাসী হামলায় চার পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছিল।
স্পিনওয়ামের দারবেশতা এলাকায় এই হামলাটি ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা জবাব দেওয়ার পর উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল গুলি বিনিময় হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। চারজন নিরাপত্তা কর্মী নিহত এবং দুজন আহত হন। নিহত ও আহত নিরাপত্তা কর্মীদের বিমানে করে বান্নুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গুলি বিনিময়ে তিন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে। হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে ফেলে।