'আইএমএফের টাকায় বাতেলাবাজি'-পাক সেনার 'হিরোগিরি'-র বিজ্ঞাপন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির ঢল

Published : May 20, 2025, 11:13 AM IST
pakistan

সংক্ষিপ্ত

ব্যানারে লেখা বার্তাটির মোটামুটি অনুবাদ হল: "শত্রুদের গর্ব হোক বা বিমান, আমরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাদের গুলি করে মাটিতে ফেলি।" ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরপরই, নেটিজেনরা ভারতের প্রতিবেশী দেশটিকে নিয়ে মজা করতে শুরু করে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির এবং পাকিস্তানের এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব আহমেদের ছবি দেওয়া একটি বিলবোর্ডের ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ব্যানারে লেখা: "দুশমন কা ঘুরুর অর জাহাজ হাম মিনটো মে গিরাতে হ্যায়।" আর পাকিস্তানের রাস্তায় রাস্তায় দেওয়া এই বিলবোর্ড আপাতত হাসির খোরাক সোশ্যাল মিডিয়ার।

ব্যানারে লেখা বার্তাটির মোটামুটি অনুবাদ হল: "শত্রুদের গর্ব হোক বা বিমান, আমরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাদের গুলি করে মাটিতে ফেলি।" ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরপরই, নেটিজেনরা ভারতের প্রতিবেশী দেশটিকে নিয়ে মজা করতে শুরু করে।

 

 

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কেউ বলছেন সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ থেকে পাকিস্তান যে বেলআউট প্যাকেজ পেয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই দাদাগিরি করা চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। আবার কেই গোটা বিষয়টিকে কেবলই সস্তা জনসংযোগ কৌশল হিসেবে দেখে পাকিস্তানের সমালোচনা করেছেন।

"এই রকম হাস্যকর প্রচারের জন্যই আইএমএফ তাদের টাকা দিয়েছে," এক ব্যবহারকারী লিখেছেন। একজন মজা করা বলেছেন "আইএমএফ কা প্যায়সে ব্যবহার হো রহে হ্যায়"। তবে শুধু ভারতীয়রাই নন, এই বিজ্ঞাপন নিয়ে মজা করছেন খোদ পাকিস্তানিরাই। এই জনসংযোগ স্টান্ট নিয়ে সরাসরি সেনাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি যে এই অর্থ আরও ভালো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেত।

পাক ব্যবহারকারীরা বলছেন "কোন সেনাবাহিনী এভাবে নিজেদের বিজ্ঞাপন দেয়? এটা তাদের কাজ; তারা প্রতি বছর ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন টাকার বাজেট নেয়, যা পাকিস্তানের মত দেশের কাছে চ্যালেঞ্জ। বহু বছর পর, একটি ছোট পূর্বপরিকল্পিত যুদ্ধ হল যেখানে দুটি বা চারটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল, এটাই তাদের কাজ। যদি একজন ডাক্তার একটি সফল অস্ত্রোপচার করেন, তাহলে কি তারও বিলবোর্ড লাগানো উচিত?"

"অন্য সবকিছু ঠিক আছে, কিন্তু এই সেনাপ্রধান সবসময় ধাক্কাধাক্কি করেন, এটি একটি প্রচারের স্টান্ট," একজন পাকিস্তানি ব্যবহারকারী বলেন।

"ব্লু বোর্ড কেন? আজকাল, মানুষ সব খবর মিডিয়ার মাধ্যমে পায়। এই অর্থ জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে বিনিয়োগ করা ভালো হবে," অন্য একজন ব্যবহারকারী বলেন। সব মিলিয়ে এই বিলবোর্ড চোখে পড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ও মানুষের হাসির খোরাক হয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

দ্বিতীয় বিয়ে করছেন স্বামী! চোখের জলে মোদীর কাছে সাহায্য চাইলেন পাকিস্তানি যুবতী
CDF আসিম মুনিরের হাতেই পাকিস্তানের পরমাণু শক্তির চাবি, সবথেকে শক্তিশালী ব্যক্তি তিনি