টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ফয়সাল আবিদি বলেন, 'অখণ্ড ভারতের' সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন।
ভারতের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে জোর চর্চা পাকিস্তানে। দেশে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের চর্চা হচ্ছে তখন চুপ করে বসে নিয়ে পাকিস্তানও। প্রতিবেশী এই দেশেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজপাট নিয়ে জোরদার আলোচনা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব নিয়ে জ্বালাময়ী বক্তব্য রেখেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনেটর ফয়সাল আবিদি। তাঁর বক্তব্য নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ফয়সাল আবিদি বলেন, 'অখণ্ড ভারতের' সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, নেপাল, ভূটান, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ভারতের প্রতীকী ইঙ্গিতে বিভক্ত হয়েছিল। তারপরে আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে ভারত আরও কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। যা এখন কেউ কল্পনাও করতে পারছে না। তিনি শুধু বছর বলেননি। দিনও বলেছেন। বলেছেন ২০ নভেম্বর ২০২৬ সালেই এই ঘটনা ঘটবে। নির্বাচনের মধ্যেই পাকিস্তানের রাজনীতিবিদের এই মন্তব্যে যথষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
GTV News সম্প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারে, প্রাক্তন পাকিস্তান সিনেটরকে তার নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথিত 'হিন্দুত্ব' এজেন্ডা এবং ভারতীয়দের কাছ থেকে তিনি যে বিশাল সমর্থন পেয়ে আসছেন সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। জবাবে আবিদি বলেন, 'নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং পাকিস্তান যখন তাদের পার্লামেন্টে 'অখন্ড ভারত'-এর একটি ম্যুরাল স্থাপন করেছিল তখন ক্ষুব্ধ হয়েছিল। পাকিস্তান যখন এটি নিয়ে কথা বলেছিল তখন লোকেরা আমাদের নিয়ে ঠাট্টা করেছিল, কিন্তু তা সত্য হয়ে ওঠে। আমি আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে ২৬ নভেম্বর ২০২৬ ভারত টুকরো টুকরো হয়ে যাবে যে আপনি অবাক হয়ে যাবেন মোদীর হিদুত্বের এজেন্ডা থেকে মানুষকে বের করে আনা এজেন্সির মাধ্যমে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু মোদী ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারতকে ধ্বংস করতে হবে, এটাই আরও গুরুত্বপূর্ণ।' দেখুন সেই ভিডিওঃ
আবিদির উস্কানিমূলক মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। সোশ্যাল মিডিয়া এক ব্যবহারকারী বলেছেন, এর মানে তারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আবারও গোলাবারুদের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অন্য একজন বলেছেন, 'আপনারা দেশের দিকে মনোনিবেশ করুন। ধীরে ধীরে দেশ দরিদ্র হয়ে গেছে। ভারতকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। ভারত নিজের যত্ন নেবে। '