
অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান আজহার মাসুদের বাড়ি। সেই সময় ভারতীয় সেনা বাহিনীর দাবি ছিল সেই হামলায় আজহারের পরিবারের ১৪ জন সদস্য নিহত হয়েছিল। কিন্তু ভারতের এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছিল পাকিস্তানের সেনা বাহিনী। কিন্তু এই ঘটনার মাত্র কয়েক মাস পরেই জইশের এক কমান্ডারের বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। সেখানে থেকেই জানা যাচ্ছে ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় সেনা বাহিনীর দাপট। জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি স্বীকার করে নিয়েছেন অপারেশন সিঁদুরে ভারতের হামলায় জইশ প্রধান মাসুদ বেঁচে গেলেও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল।
যদিও এই ভিডিওর সত্য়তা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।
এই ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কাশ্মীরিকে উর্দুতে বলতে শোনা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদকে কাজে লাগিয়ে দিল্লি, কাবুল, কান্দাহারের সঙ্গে লড়ে আমরা আমাদের দেশের সীমান্তকে রক্ষা করেছি। সব কিছু ত্য়াগ করার পরে ৭ মে মৌলানা মাসুদ আজহারের পরিবার টুকরো টুকরো হয়ে যায় বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় সেনার আক্রমণ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কাশ্মীরির পিছনে দাঁড়িয়ে রয়েছে সশস্ত্র রক্ষীরা। স্টেজে প্রচুর লোক রয়েছে। কিন্তু দর্শক আসন দেখা যাচ্ছে না। ভিডিওটি পোস্ট করেছে 'Osint TV'। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে 'জইশ-ই-মোহাম্মদের শীর্ষ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মিরি স্বীকার করেছেন যে ৭ই মে ভারতীয় বাহিনীর বাহাওয়ালপুর হামলায় তার নেতা মাসুদ আজহারের পরিবারকে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল।
পিছনে বন্দুকধারী নিরাপত্তা কর্মীদের সংখ্যা দেখুন। আইএসপিআর অনুসারে, এই সন্ত্রাসীরা নিরীহ মানুষ।'
পেহলগাঁও হামলার বদলা নিতে ভারতীয় সেনা গত ৬ মে মঙ্গলবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুর অভিযান করে। তাতেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। মূলত ভারতীয় বিমান বাহিনী এই হামলা চালিয়েছিল। এই হামলায় বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে ভারতীয় সেনা দাবি করেছিল। সেই হামলাতেই মাসুদের পরিবারের সদস্যরা নিহত হয়েছে বলেও খবর হয়েছিল। কিন্তু মাসুদ একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরা সুস্থ ও ঠিকঠাক রয়েছে। কিন্তু আসল ঘটনা যে অন্য তা জইশ কমান্ডারের ভাইরাল হওয়া বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়েছে। মাসুদ ও পাক সেনাবাহিনীর বক্তব্য যে ভুল আর মিথ্যা তা প্রমাণ করে দিয়েছেন জইশের কমান্ডারই। সেই হামলায় মাসুদের পরিবারের সদস্যরা ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল।