'আমাদের কিছু করার নেই'! পহেলগামে নৃশংস হামলার পরেও দায় ঝেড়ে ফেলল নির্লজ্জ পাকিস্তান

Published : Apr 23, 2025, 01:06 PM IST
'আমাদের কিছু করার নেই'! পহেলগামে নৃশংস হামলার পরেও দায় ঝেড়ে ফেলল নির্লজ্জ পাকিস্তান

সংক্ষিপ্ত

Pakistan denies involvement: পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এসেছে। পাকিস্তান সরকার বলেছে যে, এই হামলার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই।  

Pakistan denies involvement: পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এসেছে। পাকিস্তান সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে যে, এই হামলার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই এবং তারা সব ধরণের সন্ত্রাসবাদকে নিন্দা করে (Pakistan denies involvement)।

পহেলগামে হামলা নিয়ে পাকিস্তান কী বলল?

পাকিস্তান তাদের বিবৃতিতে বলেছে, "ভারতের অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।" এছাড়াও, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ পহেলগাম হামলা নিয়ে একটি পাকিস্তানি সংবাদ চ্যানেলের সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন যে, এই হামলার সাথে পাকিস্তানের কোন সম্পর্ক নেই। তিনি এটিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অভিহিত করেছেন।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের চাঞ্চল্যকর বক্তব্য

তবে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ তার বক্তব্যে চাঞ্চল্যকর কথা বলেছেন। তিনি একটি পাকিস্তানি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন যে, এই হামলার পেছনে ভারতেরই লোকজন জড়িত থাকতে পারে। এর সাথে সাথে তিনি বলেছেন যে, ভারতের নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং কাশ্মীরের মতো অঞ্চলে মানুষ সরকারের উপর ক্ষুব্ধ।

পাকিস্তানের এই প্রতিক্রিয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে, কারণ হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত একটি গোষ্ঠী। তারপরও পাকিস্তান নিজেকে আলাদা করে দেখানোর চেষ্টা করছে এবং উল্টো ভারতের উপরই দোষ চাপানোর পথ বেছে নিয়েছে।

এদিকে, বদলে গিয়েছে পহেলগাঁও-র চিত্র। ঘটনার পর থেকে ইন্ডিয়ান আর্মি বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে। আর্মির লোকজন প্রতিটি ঘরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে জানা গিয়েছে। গোটা শহরে বন্ধ দোকানপাট ও বাজার। পুলিশের ফোর্সে ঢেকে গিয়েছে সর্বত্র। তেমনই পর্যটকদের সকাল ১০টার মধ্যে পহেলগাঁও ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। 

এদিকে জানা গিয়েছে, ১-৭ এপ্রিল রেইকি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। একাধিক পর্যটনস্থলের রিসর্টে রেইকি করে শেষ পর্যন্ত বেছে নেয় কাশ্মীরের বৈসারন ভ্যালির একটি রিসর্ট। দুপুরে ৬-৭ জন জঙ্গি সেখানে হাজির হয়। দু-তিনটে দলে ভাগ হয়ে ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ধর্মীয় পরিচয় দেখে টার্গেট করে। তাতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আরও অনেকে। ফলে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান।

PREV
click me!

Recommended Stories

ক্রমশ বহরে বাড়ছে জইশের আত্মঘাতী স্কোয়াড! ৫০০০ মহিলা জঙ্গির নেতৃত্বে সাদিয়া
৫ বছরের জন্য পাকিস্তানের CDS আসিম মুনির, 'শাহবাজের চালাকি' বলল ভারত