
Pak Foreign Minister on India: ভারত সংঘাত থামালেই পাল্টা আক্রমণ বন্ধ করবে পাকিস্তান! সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে এমনটাই নাকি দাবি করেছেন পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। শনিবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত যদি হামলা বন্ধ করে তাহলে যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে ভেবে দেখবে পাকিস্তান। এমনটাই নাকি জানিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার।
সূত্রের খবর, যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে মার্কিন বিদেশ সচিবকেও তিনি এ কথা জানিয়েছেন বলে পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। ইশক দার বলেছেন, ''আমাদেরও একটা ধৈর্য্যের সীমা আছে। ভারত হামলা চালিয়েছে বলেই আমরা হামলা চালিয়েছি। ভারত যুদ্ধ থামালে তবেই আমরা যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে ভাবব।''
অন্যদিকে, ভারতের হামলার পাল্টা প্রত্যুত্তর দিতে 'বুনইয়ান উল মারসুস' ঘোষণা করেছে শাহবাজের দেশ। আরও জানা গিয়েছে, এই বুনইয়ান উল মারসুস হিসেবে শুক্রবার রাতভর ভারত-পাক জম্মু কাশ্মীর সীমান্তে গোলা-বারুদ, ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসলামাবাদ। শুধু তাই নয়, শুক্রবার রাতেও ফের আকাশপথে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনী তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।
শনিবার সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে যে, এবার ভারতের বিরুদ্ধে আরও বড় কোনও ষড়যন্ত্রের ফন্দি আঁটতে তড়িঘড়ি সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির বৈঠক ডেকেছেন। এই nuclear command body হল পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র এবং দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহন কমিটি। যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হবে কিনা সেই বিষয়ে এই কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে ধার্য হয়।
এদিকে ভারতের বেশ কয়েকটি অংশের বিমানঘাঁটি ও অন্যান্য অংশের সামরিক ক্ষেত্রে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। বিদেশ মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে সেই দাবি প্রত্যাক্ষাণ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, পাকিস্তান সরকার একাধিক মিথ্যা দাবি করেছেন। ভারতের প্রত্যাঘাতের কথাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের রফিকি, মুরিদ, চাকলালা ও রহিম ইয়ার খান নামে পাক বায়ু সেনার এয়ারবেসে ভারত হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও সুক্কুর, চুনিয়ায় পাক সেনা ঘাঁটি পাসরুর ও সিয়ালকোটের বিমান ঘাঁটিতেও ভারত হামলা চালিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।