পাকিস্তান যে জোর করে কাশ্মীরের একাংশ দখল করে রেখেছে, ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে স্বীকার করে নিল পাকিস্তান সরকার। ফলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের গলা ফাটানো যে নেহাতই অসাড়, সেটা ফের প্রমাণ হয়ে গেল।
'কাশ্মীরকে বিদেশি ভূখণ্ড হিসেবে গণ্য করে পাকিস্তান সরকার।' শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এক শুনানিতে এ কথা স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল মুনির ইকবাল দুগ্গল। কাশ্মীরের বিখ্যাত কবি আহমেদ ফারহাদকে গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে কোনও গোপন জায়গায় আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে আদালতে পেশ করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। সেই আবেদনের শুনানিতেই পাকিস্তানের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল স্বীকার করে নিলেন, তাঁরা কাশ্মীরকে বিদেশ বলেই মনে করেন। আদালতে প্রকাশ্যে এই মন্তব্যে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের যাবতীয় দাবি নস্যাৎ হয়ে গেল বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
কাশ্মীর নিয়ে বিপাকে পাকিস্তান
পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে বেশ কিছুদিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে। পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও বঞ্চনার অভিযোগে সরব পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। আন্দোলনকারীদের বিনা বিচারে আটক করে অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কবি ফারহাদের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর স্ত্রী উরুজ জয়নাব ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর আবেদন, ফারহাদকে মুক্তি দিতে হবে এবং যাঁরা তাঁকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখেছে তাঁদের শাস্তি দিতে হবে। বিচারপতি মহসিন আখতার কায়ানির বেঞ্চে শুক্রবার এই আবেদনের শুনানির সময়ই অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী কাশ্মীর বিদেশি ভূখণ্ড। ফলে পাকিস্তানের আদালতে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের আদালতে সেই সিদ্ধান্ত বিদেশের আদালতের রায় হিসেবেই গণ্য করা হবে।’
ভারতে ফিরবে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর
গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বারবার অখণ্ড ভারতের কথা বলা হচ্ছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জয় পেলে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ভারতে ফিরিয়ে আনা হবে বলে প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সরকারের বক্তব্য ভারতকে সুবিধা পাইয়ে দিতে পারে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Pakistan-occupied Jammu And Kashmir: 'পাকিস্তান সে লেঙ্গে আজাদি,' পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবল বিক্ষোভ