
Pakistan Defence Minister Khawaja Asif: পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতীয় সেনা (Indian Army) শুরু করে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরিস্থিতি (India-Pakistan Conflict) এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ (Pakistan Defence Minister Khawaja Asif) এমন কিছু মন্তব্য করে বসলেন যা শুধু ভারতেই নয়, পাকিস্তানেও তাঁকে হাসির খোরাক করে তুলেছে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হয় ২৫ এপ্রিল। তারপর ২৫ এপ্রিল স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফ পরোক্ষভাবে স্বীকার করেন যে পাকিস্তান কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে আসছে। তিনি বলেন, ‘আটের দশকে আমরা যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলাম, তখন আজকের সন্ত্রাসবাদীরা ওয়াশিংটন ডি সি-তে খাওয়া-দাওয়া করছিল। আমরা তিন দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে নোংরা কাজ করে আসছি। ব্রিটেন-সহ পশ্চিমী দুনিয়ার হয়েও কাজ করছি। এটা আমাদের ভুল ছিল। এর জন্য আমাদের ফল ভুগতে হয়েছে।’
পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে আসিফ বলেন, 'মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার ছাত্রদের বিষয়ে বলতে পারি, কোনও সন্দেহ নেই যে ওরা আমাদের প্রতিরক্ষার দ্বিতীয় স্তর। তরুণরা ওখানে পড়াশোনা করছে। যখন সময় আসবে, তখন ওদের ১০০ শতাংশ ব্যবহার করা হবে।' তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে পাকিস্তানে তীব্র সমালোচনা হয়। মানবাধিকার কর্মী তাহিরা আবদুল্লা বলেন, ‘এতে পাকিস্তানের ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়া ভাবমূর্তি আরও খারাপ হচ্ছে। এটা স্পষ্ট যে শিশুদের মগজধোলাই করে তাদের উগ্রপন্থার পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
আসিফ দাবি করেন, পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেনি যাতে তাদের সামরিক ঘাঁটির তথ্য ফাঁস না হয়। বিশেষজ্ঞরা এটিকে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টা বলে মনে করছেন।
সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার প্রমাণ কোথায়, তখন তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সবকিছু আছে। উপস্থাপক যখন যুক্তিযুক্ত প্রমাণ চান, তখন আসিফ নীরব থাকেন।
ভারত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার পর আসিফ হুমকি দেন যে পাকিস্তানের অস্তিত্ব বিপন্ন হলে কেউ বেঁচে থাকবে না। এই মন্তব্যকে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা হিসেবে দেখা হয় এবং ব্যাপক সমালোচনা হয়।
২০২৩ সালেও আসিফ ইমরান খানের দলের মহিলা সংসদ সদস্যদের 'আবর্জনা' বলেছিলেন এবং পরে তাঁর মন্তব্যকে লিঙ্গ সমতার নামে ন্যায্যতা দিয়েছিলেন। তাঁর এমন মন্তব্য নিয়ে পাকিস্তানেও তীব্র সমালোচনা হয়েছে।
পিটিআই সংসদ সদস্য জারতাজ গুল বলেন, 'যদি ইংরেজি না আসে তাহলে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় যেও না। যদি দেশ রক্ষা করতে না পারো তাহলে সরকার এবং শিক্ষিত লোকদের পাঠাও।' সোশ্যাল মিডিয়াতেও আসিফকে 'লজ্জাজনক' এবং 'অযোগ্য' বলা হচ্ছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।