পাকিস্তানে ওষুধের হাহাকার! ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত হতেই চিনের কাছে হাত পাতল ইসলামাবাদ

Published : Apr 28, 2025, 03:23 PM ISTUpdated : Apr 28, 2025, 03:43 PM IST
pakistan

সংক্ষিপ্ত

Pakistan medicines: পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি ছিন্ন করেছে। কিন্তু দুই দেশের বাণিজ্য স্থগিত হওয়ায় সংকটে পাকিস্তানের রোগিরা 

Pakistan medicines: পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে ভারত। আপাতত স্থগিত করা হয়েছে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি। স্থগিত করা হয়েছে সিমলা চুক্তি। ছিন্ন করার পথে দুই দেশের বাণিজ্যিক আর কূটনৈতিক সম্পর্কও। পহেলগাঁও হামলার পরই ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে জঙ্গি কার্যকলাপকে কখনই মদত দেওয়া হবে না। আর পাকিস্তান জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছে। ভারত দুটি চুক্তি স্থগিত করার পরেই পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি ছিন্ন করেছে। কিন্তু দুই দেশের বাণিজ্য স্থগিত হওয়ায় সংকটে পাকিস্তানের রোগিরা। কারণ ভারত ওষুধ, ওষুধের-সহ সকল পণ্য পাকিস্তানে পাঠানোর ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই অবস্থায় পাকিস্তানে বাজারগুলি দেখা দিয়েছে ওষুধের জন্য হাহাকার।

পাকিস্তানের ওষুধ তৈরির কাচামালের অধিকাংশই যায় ভারত থেকে। ভারত থেকে অনেক জীবনদায়ী ওষুধও সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। কিন্তু এরপর ওষুধ তৈরির কাচামালের কী হবে তা নিয়ে পাকিস্তান সরকারের কোনও নির্দেশিকা নেই এখনও পর্যন্ত। আর সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানের এবার থেকে বাড়বে ওষুধের ঘাটতি। তাই ওষুধের দাম আরও বাড়বে বলেও মনে করছে অনেকে।

জিও নিউজের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী পাকিস্তানে ওষুধ তৈরির ৩০-৪০ শতাংশ কাঁচামালই যায় ভারতথেকে। এছাড়াও বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্টও যায় ভারত থেকে। ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি অব পাকিস্তান জানিয়েছে যদিও সরকার এনিয়ে কোনও সরকারি ঘোষণা দেয়নি তবে সমস্যা সমাধানের রাস্তা তৈরি রয়েছে।

পাকিস্তান সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী ওষুধের জন্য এবার পাকিস্তানকে হাত পাততে হবে চিন , রাশিয়ার-সহ ইউরোপের একধিক দেশের ওপর। ড্রাগ কন্ট্রোলের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে একটা সংকট হয়েছিল। তার পর থেকে আমরা এর মোকাবিলায় রাস্তা তৈরি রেখেছি। পাকিস্তানের ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের এখন লক্ষ্য হল ক্যানসার, সাপে কামড়ানোর ওষুধ, অ্য়ান্টিবায়োটিক মজুত করা। বাণিজ্য বাতিল করার পর এখনও যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া না হয়ে তাহলে ঘোর সঙ্কটে পড়বে গোট দেশ। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে চোরা পথেও পকিস্তানের ওষুধ মার্কেটে ভারতীয় ওষুধ পৌঁছে যায়। আফগানিস্তান, দুবাই, ইরান হয়েও পাকিস্তানে যায় অনেক ওষুধ। কিন্তু তাতে দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই পাকিস্তানের ওষুধ ব্যবসায়ীরা ওষুধে নিষেধাজ্ঞা তোলার জন্য চাপ দিচ্ছে সরকারের ওপর।

তবে পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি (DRAP) জনিয়েছে ওষুধের ওপর নিষেধাজ্ঞ জারি করা হয়নি। কিন্তু ওষুধ যদি আমদানি বন্ধ হয়ে যায় তাতে সাধারণ মানুষকে যাতে সমস্যয় পড়তে না হয় তারজন্য এখন থেকেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পরেও ওষুধের সমস্যা তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানে। তাই এবার যতে সেই সমস্যা না হয় তারই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

 

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

CDF আসিম মুনিরের হাতেই পাকিস্তানের পরমাণু শক্তির চাবি, সবথেকে শক্তিশালী ব্যক্তি তিনি
ক্রমশ বহরে বাড়ছে জইশের আত্মঘাতী স্কোয়াড! ৫০০০ মহিলা জঙ্গির নেতৃত্বে সাদিয়া