আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান, সিলিন্ডারের অভাবে প্লাস্টিক ব্যাগে ভোরেই বিক্রি হচ্ছে রান্নার এলপিজি গ্যাস

আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান। বর্তমানে সেই সংকট এতটাই চরমে যে সিলিন্ডারের অভাবে প্লাস্টিক ব্যাগে ভোরেই বিক্রি হচ্ছে রান্নার এলপিজি গ্যাস। এমনকি গ্রাহকরাও ওই অবস্থাতেই রান্নার গ্যাস নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।

Web Desk - ANB | Published : Dec 31, 2022 6:26 PM IST / Updated: Dec 31 2022, 11:57 PM IST

আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান। বর্তমানে সেই সংকট এতটাই চরমে যে সিলিন্ডারের অভাবে প্লাস্টিক ব্যাগে ভোরেই বিক্রি হচ্ছে রান্নার এলপিজি গ্যাস। এমনকি গ্রাহকরাও ওই অবস্থাতেই রান্নার গ্যাস নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। ভয়ঙ্কর এই ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গ্যাসভর্তি প্লাস্টিক একটি শক্তিশালী বোমারই সমান। এইভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। কিন্তু তাতেও ভ্রূক্ষেপ নেই গ্রাহকদের। সচেতনতার অভাবে তারা উদাসীন। এই ঔদাসীন্যের নেপথ্যে কি ? উত্তর খুঁজতে তৎপর এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।

সংবাদ সূত্রে খবর যে এই ঘটনা পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের।২০০৭ সাল থেকেই রান্নার গ্যাস দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছিলো এখানে। বিগত ২ বছর ধরে রান্নার গ্যাসের পাইপলাইন খারাপ হয়ে যাওয়ায় হাঙ্গু শহরের বাসিন্দারাও পাচ্ছিলেন না গ্যাস। তাই রান্নার গ্যাসের বিকল্প খুঁজছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। এই সুযোগেই কিছু সুবিধাভোগী মানুষ শুধুমাত্র ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে, প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে তাদের যোগান দিতে থাকেন রান্নার গ্যাস। রান্নার গ্যাস ভরার জন্য বিশেষ নজল ও ভালভ লাগানো প্লাস্টিক ব্যাগও তৈরী করেন বিক্রেতারা। কম্প্রেসারের মাধ্যমে ওই ব্যাগে ঘন্টাখানেকের মধ্যেই ভোরে দেওয়া হচ্ছে ২ থেকে ৩ কেজি গ্যাস। তারপর রমরমিয়ে চলছে ওই গ্যাসভর্তি প্লাস্টিক ব্যাগ বিক্রি।

বিশেষজ্ঞদের দাবি ওই গ্যাসভর্তি প্লাস্টিক ব্যাগ কোনোভাবেই একটি চলমান বোমার থেকে কম কিছু না। ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে মারাত্মক কিছু দুর্ঘটনা। সম্প্রতি গ্যাসভর্তি প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটে অগ্নিদগ্ধ হয়ে যায় ৮ জন পাকিস্তানি। তাদের তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের বার্ন কেয়ার সেন্টারে। এখন তাদের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।

Share this article
click me!