'মাত্র এক দিনের পেট্রোল মজুত রয়েছে', জাতির উদ্দেশ্যে প্রথম ভাষণে বার্তা নতুন প্রধানমন্ত্রীর

নতুন প্রধানমন্ত্রী সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে এমনই ভয়ঙ্কর ছবি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, 'আমাদের পেট্রোল ফুরিয়ে গেছে। এই মুহূর্তে যা রয়েছে তাতে মাত্র একদিন কাজ চালান যাবে।'

Saborni Mitra | Published : May 16, 2022 4:02 PM IST

সংকট বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কা। দেশে মজুত পেট্রোল ফুরিয়ে গেছে। পেট্রোল আমদানি যখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে তখন প্রয়োজনীয় টাকা বা ডলার হাতে নেই। নতুন প্রধানমন্ত্রী সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে এমনই ভয়ঙ্কর ছবি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, 'আমাদের পেট্রোল ফুরিয়ে গেছে। এই মুহূর্তে যা রয়েছে তাতে মাত্র একদিন কাজ চালান যাবে।' রনিল বিক্রমাসিংহে প্রথম জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে দিয়ে কোনও আশার কথা শোনাননি। উল্টে তাঁর দেশের মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। 

এর আগে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী সোমবার দুটি প্রধান বিরোধীদলের কাছ  থেকে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন। দ্বীপরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য ক্ষমতাসীন রাজাপকসের পরিবারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। 

বিক্রমাসিংহে বলছেন, সরকার, তেল আমদানির জন্য তিনটি জাহাজ চালাতেই সমর্থ নয়। জাহাজগুলি তাদের কার্গো ছাড়ার জন্য টাকার চেয়েছে। সেগুলি কলম্বো বন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছে। রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি ও দীর্ঘ বিদ্যুতের ব্ল্যাকআউটের মুখোমুখি  হয়ে শ্রীলঙ্কার ২২ মিলিয়ন মানুষ বর্তমানে খাবার, জল আর ওষুধের গুরুতর সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই দেশটি এই প্রথম এত খারাপ অবস্থার মুখোমুখী দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেছেন আগামী কয়েক মাস দেশের নাগরিকদের চমর কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হবে। প্রথম দিনই বিক্রমাসিংহে জানিয়েছেন সত্য গোপন করে জনগণকে তিনি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে চান না। সেই জন্যই এক কথা বলছেন। 

বৃহস্পতিবার বিক্রমাসিংহে  শ্রীলঙ্গার শাসনভার গ্রহণ করেন। দেশের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য তাঁর পূর্বসুরী মহিন্দ্রা রাজাপকসেকে ক্ষমতাচ্যুক করে বিক্রমাসিংহে দেশের সিংহাসনে বলেন।  তবে এদিন তিনি দেশের মানুষকে ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করতে বলেন। পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দিয়েছেন এই সংকট তিনি কাটিয়ে উঠতে পারবেন। তবে তার জন্য প্রত্য়েক নাগরিকের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। 

শ্রীলঙ্কা আইএফএফএর কাছে বেলআউট চেয়েছে। আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদেক অন্যতম দাবি হল কলম্বোর রাষ্ট্রীয় উদ্যোগগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে হবে। যারমধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইনস। এর ঋণ এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।  

Share this article
click me!