জাপানের রাজকীয় বিবাহ আইন জানাচ্ছে বিয়ের পরে মহিলাদের তাদের রাজকীয় মর্যাদা ছেড়ে দিতে হয়। সেই নিয়মের বলে রাজকুমারী মাকো তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক কেই কোমুরোকে বিয়ে করতে চলেছেন।
জাপানে রাজতন্ত্রের(monarchy) অবসান ঘটলেও রাজকীয় পরিবার তার ঐতিহ্য বজায় রেখেছে এখনও। আর এই নিয়ম পালন করতে গিয়ে প্রায় অবলুপ্তির পথে জাপানের রাজপরিবার। কারণ জাপানের রাজকীয় বিবাহ আইন(Japan's imperial law) জানাচ্ছে বিয়ের পরে মহিলাদের তাদের রাজকীয় মর্যাদা ছেড়ে দিতে হয়। চার বছরের বাগদানের পর, ৬১ বছর বয়সী সম্রাট নারুহিতোর(61-year-old Emperor Naruhito) ভাইঝি রাজকুমারী মাকো(Princess Mako of Japan) তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক (longtime boyfriend) কেই কোমুরোকে(Kei Komuro) বিয়ে করতে চলেছেন।
এই ঘটনাটি আপাত দৃষ্টিতে সাধারণ হলেও, জাপানের রাজকীয় আইন অনুযায়ী নিজের ভাগের সব সম্পত্তি ছেড়ে ও রাজকীয় তকমা ঝেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে রাজকুমারী মাকোকে। ফলে ফের রাজপরিবারে কমছে সদস্য সংখ্যা। রাজকুমারী পরিবার থেকে বেরিয়ে যাবেন বিয়ের পরে। এর ফলে মাত্র ১২ জন মহিলা এবং পাঁচজন পুরুষ থেকে যাবেন রাজপরিবারে।
২০১৮ সালে মাকো ও কোমুরোর বিয়ে করার পরিকল্পনার কথা জানা গিয়েছিল। পরবর্তীতে জটিলতা তৈরি হওয়ায় পিছিয়ে যায় বিয়ের আয়োজন। তবে দুই বছর পর অবশেষে তা মেনে নেন জাপানের ক্রাউন প্রিন্স ফুমিহিতো। বিয়ে হয়ে যাওয়ায় রাজপ্রাসাদ ছেড়ে দিয়ে প্রিন্সেস মাকো স্বামী কেই কোমুরোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবেন। কোমুরোর সেখানে গিয়ে আইনজীবী হিসেবে কাজ করার কথা রয়েছে।
Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে
এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান
পিরিয়ডসের সময় এই নিয়মগুলো মানেন তো, জেনে রাখা উচিত পুরুষদেরও
গত শনিবার অর্থাৎ ২৩ অক্টোবর শেষবারের মতো রাজপ্রাসাদে নিজের ৩০তম জন্মদিন পালন করেছেন মাকো। এর মধ্যে দিয়েই শেষ বারের মতো রাজপ্রাসাদে কোনো অনুষ্ঠান উদযাপন করলেন তিনি। জাপানের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়ে ২০১২ সালে পরিচয় হয় প্রিন্সেস মাকো ও কেই কোমুরোর। এক পর্যায়ে পরিচয় রূপ নেয় পরিণয়ে। এমনকি ২০১৭ সালে সম্পন্ন হয় তাদের বাগদানও।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের রাজপরিবারের ৬৭ জন সদস্য ছিলেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত, মাত্র ১৭ জন, এবং তাদের মধ্যে সিংহাসনের মাত্র তিনজন উত্তরাধিকারী থাকবেন। এঁরা হলেন সম্রাটের ৮৫ বছর বয়সী কাকা প্রিন্স মাসাহিতো, তার ভাই ৫৫ বছর বয়েসী ক্রাউন প্রিন্স ফুমিহিতো এবং তার ভাগ্নে এবং প্রিন্সেস মাকোর ভাই ১৫ বছর বয়েসী হিসাহিতো। জাপান এমন কয়েকটি আধুনিক রাজতন্ত্রের মধ্যে পড়ে, যা পুরুষদের উত্তরাধিকার সীমিত করে - তাদের মধ্যে সৌদি আরব, ওমান এবং মরক্কো।
জাপানি রাজ পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী, রাজপুত্র অথবা রাজকুমারীরা রাজবংশের বাইরে সাধারণ পরিবারের কাউকে বিয়ে করলে রাজকীয় পদমর্যাদা হারায় এবং তাদের বঞ্চিত হতে হয় রাজপ্রাসাদের সবকিছু থেকে। জানা গেছে, শিগগিরই একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন নবদম্পতি। সেখানে তারা একটি সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী বিবৃতি দেবেন। এছাড়া আগে থেকে জমা দেওয়া পাঁচটি নির্বাচিত প্রশ্নের লিখিত উত্তর দেবেন।