নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভালোদিমির জেলেনস্কির অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বড় বিপর্যয় এড়িয়ে পারমাণবিক চুল্লিগুলির এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। বিকিরণের মাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে (100 km south of Kyiv) কানিভ হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্ল্যান্টের (Kaniv Hydroelectric Power Plant) দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে রাশিয়ান সেনা (Russian troops)। ফলে নতুন করে বড়সড় সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, শেষ পাওয়া খবর চৌঠা মার্চ রাশিয়ার তরফে জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রে (Zaporizhzhia Nuclear Power Plant) হামলা চালানোর পর বিকিরণ মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে, যা স্বস্তির খবর। ইউক্রেনের পারমাণবিক নিয়ন্ত্রক এনারগোঅটমের তরফে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থাকে জানানো হয়েছে যে রাশিয়ান বাহিনী সাইটটিতে আক্রমণ করার একদিন পরে বিকিরণ মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় অনুসারে শুক্রবার ইউক্রেনের জেপোরজিয়া পরমাণু কেন্দ্রের (Zaporizhzhia Nuclear Power Plant) বাইরে টহল দিচ্ছিল রুশ সেনা। সেই সময় ওই প্লান্টের বাইরে অবস্থিত একটি এডুকেশ ও ট্রেনিং কমপ্লেক্সের প্রায় প্রতিটি জায়গা থেকেই রুশ বাহিনীর উপর গুলি চালাতে শুরু করে ইউক্রেনীয় সেনা। তার পাল্টা জবাব দেয় রুশ সেনা। পরমাণু কেন্দ্র এবং তার আশপাশের এলাকা যাতে তেজস্ক্রিয় দূষণে ভরে যায়, তার জন্যই পরিকল্পিত ভাবে রুশ সেনাকে প্ররোচিত করা হয় বলে অভিযোগ করে রাশিয়া।
উলটো দিকে, ইউক্রেনের প্রশাসন দাবি করেছে রুশ সেনা এদিন বেলারুশ সীমান্তে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র লক্ষ্য করে চলছে গুলি বর্ষণ ও শেলিং। যা উস্কে দিয়েছিল ৩৬ বছর আগের চেরনোবিল বিপর্যয়ের স্মৃতি। এদিন সংস্থার পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানান হয়েছে, সংস্থার প্রধান মারিয়ানো গ্রসি ইুক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ও ইউক্রেনের পরমানুর নিয়ন্ত্রক ডেনিস শ্মিগামের সঙ্গে ঝাপরিঝিয়া প্ল্যান্টের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। একই সঙ্গের প্ল্যান্টের আপারেটরদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলেও সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভালোদিমির জেলেনস্কির অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বড় বিপর্যয় এড়িয়ে পারমাণবিক চুল্লিগুলির এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। বিকিরণের মাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে।
ইউক্রেনের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার এক চতুর্থাংশ এই কেন্দ্রই মেটায়। তাই এই কেন্দ্র লক্ষ্য করে রাশিয়ান সেনদের গুলি গোলা চালানো বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন এই কেন্দ্রটিতে সংস্কারের কাজ চলছে। এখানে এখন কোনও উৎপাদন হচ্ছে না। তিনি আরও সতর্ক করে রাশিয়াকে বলেছেন এই কেন্দ্রে প্রচুর পরিমাণে পরমাণু মজুত রয়েছে।