মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য প্রতিরোধ বাড়াবেন বলে আশ্বাস দেন। এরই সঙ্গে মার্কিন ও অন্যান্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলির তরফ থেকে পূর্ণ সমর্থনের কথাও তুলে ধরেন।
সাহায্যের প্রয়োজন। প্রয়োজন অর্থের, প্রয়োজন ত্রাণের। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাহায্য (Aid for Ukraine) চাইল যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Ukrainian President Volodymyr Zelensky) ফোন করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (United States President Joe Biden)। এই টেলিফোনিক কথোপকথনে জেলেনস্কি ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও আর্থিক সহায়তার (security and financial support) বিষয়ে আলোচনা করেন।
চলতি সপ্তাহে এই দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে এটি দ্বিতীয় ফোনালাপ। টানা আলোচনার অংশ হিসেবে মার্কিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন এই আলোচনা নিরাপত্তা, ইউক্রেনের জন্য আর্থিক সহায়তা এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার বিষয়গুলি উঠে এসেছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলি রাশিয়ার ওপর প্রতিরোধ বাড়াচ্ছে: বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য প্রতিরোধ বাড়াবেন বলে আশ্বাস দেন। এরই সঙ্গে মার্কিন ও অন্যান্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলির তরফ থেকে পূর্ণ সমর্থনের কথাও তুলে ধরেন। বাইডেন বলেন যে তার প্রশাসন ইউক্রেনের নিরাপত্তা, মানবিক এবং অর্থনৈতিক সহায়তার দিকটি অবশ্যই দেখবে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সাম্প্রতিক আলোচনা নিয়েও আলোচনা করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে এই নেতার মধ্যে আলোচনা চলে।
বৃহস্পতিবার, বাইডেন জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে জেলেনস্কির কাছ থেকে তথ্য নেন। এর আগে শনিবার ক্রেমলিনে বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট জেলেনস্কিকে ফোন করেন। জেলেনস্কি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জন্য আরও যুদ্ধবিমান পাওয়ার জন্য মার্কিন আইন প্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, শনিবার পুতিন বলেছেন ইউক্রেনেরওপর নো-ফ্লাই জোন (No Fly Jone) প্রতিষ্ঠার জন্য অন্য কোনও দেশ যদি চেষ্টা করে তাহলে মোকিবিলায় করবে মস্কো। প্রয়োজনে সশস্ত্র সংঘাতে জড়াতেও পিছপা হবে না। তিনি আরও বলেছেন রাশিয়ার শর্ত যদি ইউক্রেন না মেনে নেয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি দেশটি রাষ্ট্রের মর্যাদা হারাতে (lose statehood) পারে।
দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস ও দ্যা ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। দুটি সমবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন রুশ প্রসিডেন্ট পুতিন। সেই বৈঠকেই তিনি বলেছেন, মস্কো শুনেছে ইউক্রেনের ওপর একটি নো-ফ্লাই জোন আরোপ করা হতে পারে বলে। যদি এমনটা হয় তাহলে রাশিয়া রুখে দেওয়ার জন্য সশস্ত্র সংঘাতের পথেই হাঁটবে।