পরীক্ষা চলাকালীন দুটি স্কুলে একাধিক বিস্ফোরণ, সাত শিশু সহ মৃত ২০

Published : Apr 19, 2022, 03:01 PM ISTUpdated : Apr 19, 2022, 07:02 PM IST
পরীক্ষা চলাকালীন দুটি স্কুলে একাধিক বিস্ফোরণ, সাত শিশু সহ মৃত ২০

সংক্ষিপ্ত

একই এলাকায় তিনটি পরপর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর লক্ষ্যেই এই হামলা।   

ফের রক্তাক্ত কাবুল। স্কুল ও শিক্ষাকেন্দ্র লক্ষ্য করে একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। প্রায় সাতজন স্কুল পড়ুয়া মারা গিয়েছে বলে খবর। সাত পড়ুয়া সহ মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। ওই এলাকায় মূলত শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের বাস। একই এলাকায় তিনটি পরপর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর লক্ষ্যেই এই হামলা। 

কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে যারা গুরুতর আহত হয়েছে, তাদের চিকিৎসা চলছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। উল্লেখ্য, আব্দুল রহিম শহিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে এবং একটি শিক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে  বিস্ফোরণগুলি ঘটে। কাবুলের দাশত-ই-বারচি এলাকায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। তখনই বিস্ফোরণ হয়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের নার্সিং বিভাগের প্রধান প্রাথমিকভাবে জানান, বিস্ফোরণে অন্তত ছয়জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই বিস্ফোরণের দায় কেউ স্বীকার করেনি। উল্লেখ্য, এই এলাকাটি অতীতে একাধিকবার আফগানিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের সহযোগি সংগঠনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। 

পুলিশ জানাচ্ছে, গত কয়েক মাসে শীতের মরসুম চলায় এই ধরণের বিস্ফোরণের সংখ্যা কমেছিল। তবে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকে হামলার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছিল। উল্লেখ্য এই দাশত-ই-বারচি এলাকায় ডিসেম্বর মাসেও বড় বিস্ফোরণ ঘটে। একটি মিনিবাসে বোমা বিস্ফোরণে দুজন সাধারণ মানুষ মারা যান। আহত হন চারজন। তালিবান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র সাঈদ খোস্তি সাংবাদিকদের বলেন এই তথ্য। 

সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয় একই এলাকায় আরেকটি বিস্ফোরণে, একজন মহিলা আহত হন। সাইদ খোস্তি আরও বলেন, দ্বিতীয় বিস্ফোরণটিও একটি বোমা থেকে হয়। হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। উল্লেখ্য, দাশত-ই-বারচির বেশিরভাগ অংশ শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষে পূর্ণ। যারা বছরের পর বছর ধরে জিহাদি ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএসআইএস) গ্রুপের হিংসাত্মক কার্যকলাপের টার্গেট।  

উল্লেখ্য, ইসলামিক স্টেট-খোরাসান, আইসিস গোষ্ঠীর স্থানীয় শাখা, প্রথমে নানগারহার প্রদেশে ঘাঁটি গাড়ে। ২০১৫ সালে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্বীকৃতি পায়। গোষ্ঠীটির আফগানিস্তানে তুলনামূলকভাবে ছোট কিন্তু শক্তিশালী উপস্থিতি ছিল এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশের সবচেয়ে মারাত্মক কিছু হামলার জন্য দায়ী ছিল এই গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠী একাধিকবার মসজিদ, মাজার, পাবলিক স্কোয়ার এবং এমনকি হাসপাতালে সাধারণ মানুষকে হত্যা করার জন্য দায়ি। 

একই সারিতে চার গ্রহ, কীভাবে খালি চোখে দেখবেন মাঝ আকাশের মহাজাগতিক দৃশ্য

ভগবান গণেশের মূর্তি ভুলেও ঘরের মধ্য়ে এমনভাবে রাখবেন না, সিদ্ধাদাতার ছবি নিয়েও সতর্ক হন

জল্পনা উস্কে দিয়ে আবারও সনিয়ার কাছে প্রশান্ত কিশোর, তিন দিনে দুবার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

PREV
click me!

Recommended Stories

Today Live News: বঙ্গে শীতের ইনিংস শুরু, সপ্তাহ শেষে পারদ পতনের ইঙ্গিত? এবার কী শীতে কাঁপবে বঙ্গবাসী
ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, নতুন করে ভূমিধসের সতর্কতা জারি