ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ''রাশিয়ার সৈন্যরা জনবাসের জন্য যুদ্ধ শুরু করেছেন। রাশিয়ার বাহিনীর একটি বড় অংশ হল এই এলাকায় যুদ্ধ করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
পূর্ব ইউক্রেনের দখল নিতে মরিয়া রাশিয়া। যুদ্ধ বিধ্বস্ত পূর্ব ইউক্রেনের দখল নিতে নিতে নতুন করে আবারও হামলা শুরু করল রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ''রাশিয়ার সৈন্যরা জনবাসের জন্য যুদ্ধ শুরু করেছেন। রাশিয়ার বাহিনীর একটি বড় অংশ হল এই এলাকায় যুদ্ধ করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে যুদ্ধের প্রায় মাটিতে মিশে গেছে মারিউপোল। তবে এই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা এখনও পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেনি। তাঁরা এখনও রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করছে। তবে রাশিনার সৈন্যরা যে কৌলশগতভাবে উল্লেখযোগ্য বন্দর শহরটিকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দিতে বদ্ধপরিতক তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী।
ডানবাস- পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাই রুশ-ভাষী। এই এলাকায় একদল বিচ্ছিন্নতাবাদী গত আট বছর ধরে মস্কোর সমর্থনে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে বলেই ইউক্রেন প্রশাসনের দাবি। এই এলাকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মস্কো পুরোপুরি সমর্থন করেছে। রুশ সেনার সমর্থনে এই এলাকায় যুদ্ধ চালাচ্ছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
কিয়েভ থেকে রুশ নজর ডনবাসে- রুশ সেনা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই কিয়েভ দখলের চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু তাতে কোনও ভাবেই সাফল্য পাচ্ছে না। এই অবস্থায় রুশ সেনা নজর ঘুরিয়ে পুরোপুরি চলে গেছে ডানবাসের দিকে। তবে জেলেনস্কি জানিয়েছে রুশ সেনা ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যতই দাপট দেখাক না কেন ইউক্রেনীয় বাহিনী স্বাধীনতা বিসর্জন দেবে না। তারা রুশ সেনার সঙ্গে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।
ডনবাসে আক্রমণের পদ্ধতি- ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছেন রুশ বাহিনী সোমবার থেরেই লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলে আক্রমণ তীব্র করেছে। এই দুটি এলাকাই ডনবাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অন্যদিকে ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ক্রিমিয়াতেও সেনা পাঠাচ্ছে ক্রেমলিন।
অন্যদিকে কিছুটা হলেও শান্ত হয়েছে খারকিভ, বাখমুতের মত যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরগুলি। তবে পূর্ব ইউক্রেনের পাশাপাশি রাশিয়ান সেনা বাহিনী ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাভিবেই আক্রমণ করছে। বেশ কিছু অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। পোল্যান্ডের কাছে অবস্থিতি লাভিবে ইতিমধ্যেই মিসাইল হামলায় কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এই এলাকায় এতদিন ধরে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের আশ্রয় কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। কারণ এই শহরে থেকেই মানুষ সমান্ত পার হয়ে পোল্যান্ডে চলে যাচ্ছিল।
মারিউপোল- ইউক্রেন প্রশাসন জানিয়েছে রাশিয়ার হামলায় প্রায় বিধ্বস্ত মারিউপোল। একটি স্টিলের কারখানায় ইউক্রেনীয় বাহিনী রয়েছে। সেটাই রাশিয়ার কাছে শেষ বাধা। এই স্টিল কারখানা রয়েছে শহের দক্ষিণ প্রান্ত। তবে এখনও ওই স্টিল কারখানা থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ সেনাকে আটকানের চেষ্টা করছে। কারখানায় সাধারণ মানুষও আশ্রয় নিয়েছে।
একই সারিতে চার গ্রহ, কীভাবে খালি চোখে দেখবেন মাঝ আকাশের মহাজাগতিক দৃশ্য
ভগবান গণেশের মূর্তি ভুলেও ঘরের মধ্য়ে এমনভাবে রাখবেন না, সিদ্ধাদাতার ছবি নিয়েও সতর্ক হন
জল্পনা উস্কে দিয়ে আবারও সনিয়ার কাছে প্রশান্ত কিশোর, তিন দিনে দুবার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক