আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করল তালিবান জঙ্গিরা। রবিবার এই আতঙ্ক কাবুলের সব সরকারি অফিস ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন সরকারি কর্মীরা।
আফগানিস্তানের (Afghanistan) রাজধানী কাবুলে (Kabul) প্রবেশ করল তালিবান জঙ্গিরা (Taliban fighters)। রবিবার এই আতঙ্ক কাবুলের সব সরকারি অফিস ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন সরকারি কর্মীরা। ইতিমধ্যেই কাবুলে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে (US Embassy) নেমেছে তালিবানদের একাধিক হেলিকপ্টার (helicopters)। আফগানিস্তানে তালিবানদের ঘাঁটি আরও জোরদার ও শক্ত হল। রাজধানী দখলের অর্থ প্রায় গোটা আফগানিস্তানেই কবজা করল তালিবানরা।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া তথ্যে তিন আফগান আধিকারিক জানান, তালিবানরা রাজধানীর কালাকান, কারাবাগ এবং পাগমান জেলায় ছিল। জঙ্গিরা ক্রমশ এগিয়ে আসতে থাকে। প্রথমেই জালালাবাদ দখল করে তারা। পাক সীমান্তের খুব কাছের এই শহর আপাতত তালিবান দখলে। তবে কাবুলের পুরো অংশের দখল এখনও নিতে পারেনি তালিবানরা।
সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষমতার উৎস হয়ে উঠছে তালিবানরা। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে পরাজিত করে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করেছে। আফগানিস্তান সরকার সূত্রে খবর, মার্কিন দূতাবাসের কাছাকাছি এলাকায় সাঁজোয়া গাড়ি দেখা যায়। দেখা যায় শাটল রান ফ্লাইটস। তবে এই বিষয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কোনও বক্তব্য রাখেনি। গোটা ঘটনা ঘিরে ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন কূটনীতিকরা।
এরই সঙ্গে চেক রিপাবলিক নিজেদের দূতাবাসের কর্মীদের কাবুল থেকে সরিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছেন চেক কূটনীতিকরা।
এদিকে, মাজার-ই-শরীফ তালিবান বিরোধী ঘাঁটি হিসেবে বরাবর পরিচিত ছিল। সেই মাজার -ই শরীফ দখলের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তালিবানরা জালালাবাদ দখল করে নেয়। বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ আফগানিস্তানই তালিবানদের দখলে চলে গেছে। রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি আর রাজধানী কাবুলকে প্রায় সবদিকদিয়েই ঘিরে ফেলেছে তালিবানরা। এই অবস্থায় কিছু না বললেও তালিবান মূল বক্তব্য হল হয় যুদ্ধ কর না হবে আত্মসমর্পণ কর। তবে কাবুলের দখল রাখতে গেলেই ঘানি সরকারকে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু সেই শক্তি সরকারের রয়েছে কিনা তাই নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।