মুখে শান্তির কথা বললেও তালিবানরা একটুও বদলায়নি। তারই প্রমাণ দিল আফগানিস্তানের লোকশিল্পীকে বাড়িতে হত্যা করে।
মুখে শান্তি আর সুশাসনের কথা বললেও তালিবানরা যে সে পথে হাঁটবে না তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল লোকসঙ্গীত শিল্পী ফাওয়াদ আন্দারাবিকে হত্যা করে। আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাম মাধ্যম আসভাকা নিউজ দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মাসুদ আন্দারাবির উদ্ধৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছেন। একটি সূত্র বলছে ফাওয়াদ আন্দরাবিকে তাঁর বাড়িতেই ঢুকে হত্যা করেছে তালিবানরা। তাঁর ছেলে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। গতকালই তালিবানরা মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীদের শরিয়া মেনে কর্মস্থলে যেতে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই দিনই একজন সঙ্গীত শিল্পীকে তারা হত্যা করল। তাতেই তালিবানদের কথা আর কাজের মধ্যে ফারাক স্পষ্ট হচ্ছে।
অন্যদিকে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ বলেছেন, ইসলামে সঙ্গীত নিষিদ্ধ। তবে এধরনে ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিতেও নজর দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মানুষ চাপ দিয়েও সঙ্গীত থেকে দূরে সরিয়ে রাখার প্রচেষ্টা জারি রাখা হবে।
Afghanistan Crisis: গৃহযুদ্ধ এড়াতে এই সেরা ৮ আফগান নেতাকে হাতে রাখতে হবে তালিবানদের
কাবুল দখলের পর প্রথম কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য, ভারত-পাকিস্তানকে আলোচনায় বসতে পরামর্শ তালিবান নেতার
'জয়শ্রী রাম বলতেই হবে', মুসলিম ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে আঙুল তুলে ধমকের ভিডিও ভাইরাল
শিল্পীদের ওপর অত্যাচারের পাশাপাশি মহিলাদের কণ্ঠরোধ করার প্রচেষ্টাও শুরু করে দিয়েছে তালিবানরা। মুখে হিজাবের কথা বললেও মহিলাদের জন্য বোরধা প্রায় বাধ্যতমূলক করা হয়েছে। মহিলাদের বাড়ির বাইরে যেতে হলেও পুরুষ সঙ্গী থাকাটা বাধ্যতামূলক করেছে। অন্যদিকে কান্দাহারসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের কাজে ফেরার কথা বলেও সংবাদন চ্যালেনসহ একাধিক কাজের জায়গা থেকে মহিলাদের ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে তালিবানরা।
এখনও আফগানিস্তানে সরকার গঠন করেনি তালিবানরা। কিন্তু তারই মধ্যে তাদের এই রুদ্ররূপে রীতিমত ত্রস্ত আফগান মহিলারা। গত ১৫ অগাস্ট থেকে অধিকাংশ স্কুলেই পড়াশুনা শিকেয় উঠেছে। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ স্কুল। যেগুলি খোলা রয়েছে সেগুলিতে প্রাণ ভয়ে যেতে নারাজ পড়ুয়ারা। অধিকাংশ মহিলাই লেখাপড় বন্ধ করে দিয়ে ১৯৯৬-২০০১ সালের তালিবানি শাসনের আমলে ফিরে যাচ্ছেন।