ভয়াবহ ধ্বংসলীলার স্মৃতিতে এখনও আত্ঙ্কে দিন কাটাচ্ছে শ্রীলঙ্কাবাসী। ইস্টার রবিবারে জঙ্গিদের হামলা প্রায় 250-র বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে। গুরুতর আহত হয়ে এখনও মৃত্য়ুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অনেকে। কিন্তু এই মৃত্য়ুমিছিলেও আশ মেটেনি জঙ্গিদের। বরং দ্বীপভূমে আরও বড় করে জঙ্গি হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
ভয়াবহ ধ্বংসলীলার স্মৃতিতে এখনও আত্ঙ্কে দিন কাটাচ্ছে শ্রীলঙ্কাবাসী। ইস্টার রবিবারে জঙ্গিদের হামলা প্রায় 250-র বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে। গুরুতর আহত হয়ে এখনও মৃত্য়ুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অনেকে। কিন্তু এই মৃত্য়ুমিছিলেও আশ মেটেনি জঙ্গিদের। বরং দ্বীপভূমে আরও বড় করে জঙ্গি হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
শ্রীলঙ্কার জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবার সাবধান করেছে, আইএস জঙ্গিরা এবার সেনার পোশাকে বড় হামলা করার ছক কষেছে। ইস্টার হামলার মতোই একই দিনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছে আইএসে জঙ্গিরা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এমনই জানা গিয়েছে।
এমনকী, রবিবার বা সোমবার দেশের পাঁচটি জায়গায় জঙ্গিরা ফের হামলা চালাতে পারে বলে খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। তাই সময়ে ধরে চলেছে চিরুনি তল্লাসি। নিরাপত্তার খাতিরে মহিলাদের বোরখা পরায়ও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশের সরকার। যদিও অনেকে মনে করছেন, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
ভয়াবহ জঙ্গি হানার পরে সোশ্য়াল মিডিয়া ও ইন্টারনেট পরিষেবার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মৈথ্রিপালা সিরিসেনা সোশ্য়াল মিডিয়া ও ইন্টারনেট পরিষেবার থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু ইন্টারনেট বা সোশ্য়াল মিডিয়ার ব্য়বহারের বিষয় আরও দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কার মানুষ টেলিভিশনের থেকেও অনলাইনের খবরের উপর বেশি নির্ভর করে। তাই আরও সচেতন ভাবে এই মাধ্য়ম ব্য়বহার করার কথা বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্য় আল জাজিরা-র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কা সরকার মনে করেছিল ইস্টারে যে হামলা হয়েছিল তার পিছনে রয়েছে ন্য়াশনাল তহিদ জামাত (এনটিজে) এবং জাম্মিয়াতুল মিলাথু ইব্রাহিম (জেএমআই)এই দুই ছোট জঙ্গি সংগঠন। তবে আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে যে ধরনের বিস্ফোরক ব্য়বহার করা হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট কোনও প্রশিক্ষিত জঙ্গি সংগঠনই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।