গত ২৮ বছরে গড় তাপমাত্রা জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে যথাক্রমে ২.৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১.৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
ক্রমেই বাড়ছে জম্মু ও কাশ্মীরের তাপমাত্রা। গত ২৮ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরের গড় তাপমাত্রা সর্বাধিক বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জলবায়ুর পরির্তনই এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রধান কারণ বলে জানা যাচ্ছে। শুক্রবার একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, "জম্মু ও কাশ্মীরে জলবায়ুর আমুল পরিবর্তন লক্ষ করা গিয়েছে। গত ২৮ বছরে গড় তাপমাত্রা জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে যথাক্রমে ২.৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১.৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে, আমরা কাশ্মীরে একটি বিধ্বংসী বন্যা পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছি এবং প্রায় প্রতি বছরই অসময়ে বৃষ্টিপাতের কারণে জম্মুতে ধান এবং কাশ্মীরের আপেলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। "আমাদের নিজেদেরকে এবং আমাদের কৃষকদের এই আবহাওয়ার পরিবর্তনগুলির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রস্তুত করা উচিত যাতে তাঁরা অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়", সংযোজন দুল্লুর। পাশাপাশি তিনি এও উল্লেখ করেন, কৃষি বিশ্বের অর্থনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং ভারতের মতো অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জীবনরেখা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কিন্তু, আজকে কৃষির সমৃদ্ধি এবং আমাদের কৃষকদের ভবিষ্যৎ জলবায়ু পরিবর্তনের মতো আসন্ন চ্যালেঞ্জগুলির দ্বারা হুমকির মুখে পড়েছে যা সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করা প্রয়োজন।"
এসিএস বলেছেন যে ভারতে বৃষ্টিনির্ভর এবং সেচযুক্ত ধানের ফলন ২০৫০ সালের মধ্যে যথাক্রমে ২.৫ শতাংশ এবং ৭ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে৷
তিনি আরও বলেন, ২১০০ সালে গমের ফলন ৬ থেকে ২৫ শতাংশ এবং ভুট্টার ফলন ১৮ থেকে ২৩ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
দুল্লু জানান, সরকার ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদের (আইসিএআর) প্রাক্তন মহাপরিচালক এবং কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা বিভাগের (ডিএআরই) সচিব ডঃ মংলা রাইয়ের সভাপতিত্বে একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করেছে।
এছাড়াও তিনি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কৃষকদের আয় বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তাবের খসড়া তৈরিতে অসামান্য ভূমিকা পালন করার জন্য উভয় খামার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরদের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন -
করুণাময়ী-কাণ্ডে সরব অপর্ণা সেন, ঋদ্ধি আর কমলেশ্বরের ফেসবুকে পুলিশের নিন্দা
দীপাবলির আগেই মজুত বাজি বিস্ফোরণে মৃত ৪, ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল আস্ত দোতলা বাড়ি