আফগানিস্তান দখলে ক্রমশই এগিয়ে যাচ্ছে তালিবানরা। আরও তিনটি শহর দখল করেছে।
আফগানিস্তান দখলের পথে ক্রমশই এগিয়ে যাচ্চে তালিবানরা। আফগান সরকারের পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছেন নতুন করে আরও তিনটি প্রদেশের রাজধানীর দখল নিয়েছে তালিবানরা। একই সঙ্গে উত্তরে সেনার সদর দফতরও তালিবানদের দখলে চলে গেছে।
উত্তর-পূর্বে বাদাখশান আর বাঘলান প্রদেশের রাজধানী ও পশ্চিম ফারাহ প্রদেশের পতন দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের রীতিমত চাপ বাড়াচ্ছে দেশের প্রধান আশরফ ঘানির ওপরে। তালিবানরা কুন্দুজের প্রধান ঘাঁটিটি হারালেও বাকি এলাকায় শক্তি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে। তবে পিছু হাঁটতে নারাজ আফগান প্রেসিডেন্ট। তিনিও বর্তমানে পরিদর্শন করছেন তালিবান নিয়ন্ত্রণ বালখ প্রদেশ। তালিবানদের হাত বেরিয়ে আসনে স্থানীয় বাসিন্দাদের আহ্বান জানাচ্ছেন।
CII Annual Session 2021: আগের সরকার ঝুঁকি নিতে ভয় পেত, আত্মনির্ভর দেশ গঠনে জোর প্রধানমন্ত্রীর
একটি সূত্র বলছে, এখনও পর্যন্ত তালিবানরা কাবুল নিয়ে সেরকম বড় কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তবে তালিবানদের এই অগ্রগতির আফগান সরকারের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ। আফগান সরকার কতদিন গ্রাম আর শহরে নিজেদের ক্ষমতা বজায় রাখতে পারে তাই এখন দেখার। যদিও আফগান সরকার সবরকম চেষ্টা করছে। পাশাপাশি পাকিস্তানকেও একাধিকবার নিষেধ করছে তালিবানদের যেন পাক সরকার কোনও রকম মদত না করে।
করোনাকালে উলটপুরাণ ভগবানের দেশে, টিকা নেওয়ার পরেও ৪০ হাজার মানুষ সংক্রমিত কোভিড ১৯-এ
তবে কাবুলের দক্ষিণ -পশ্চিমে ফারাহ প্রদেশে নতুন করে ঘাঁটি তৈরি করছে তালিবানরা। স্থানীয় সাংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন বুধবার এই প্রদেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় তালিবান জঙ্গিদের দেখা গেছে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে রাস্তায় সকলের সামনেই নৃশংসভাবে খুন করেছে। তালিবানের হাতে ছিল এম-১৬ রাইফের। মার্কিন ট্রাকেই তারা সওয়াল ছিল। তালিবানদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এই শহরের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। সহরে তারা টহল দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে।
'খেলা হবে দিবস' পালনে তীব্র আপত্তি, ১৬ অগাস্ট ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতের পথে বিজেপি
অন্যদিকে তালিবার আর আফগান সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের মাঝে পড়ে আফগানিস্তানের বহু সাধারণ নাগরিকও বর্তমানে ঘরছাড়া। তেমনই বেশ কয়েকজন মহিলা আর শিশুকে কাবুলের একটি হাসপাতালে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাবার দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেছে আফগান প্রশাসন। তবে তালিবানরা বেশ কয়েকটি স্কুল আর স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। যা নিয়ে সন্ত্রস্ত আফগানবাসী।