সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (United Arab Emirates) আবুধাবিতে (Abu Dhabi) দু-দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো।
ক্রমে উত্তাপ বাড়ছে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে (Persian Gulf)। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (United Arab Emirates) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার ভোরে আবুধাবিকে (Abu Dhabi) লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করেছে তারা। সেই দেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএম জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে মাঝ আকাশেই বাধা দেওয়া হয় এবং সেগুলি টুকরো টুকরো হয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। তবে, এতে কারোর কোনও ক্ষতি হয়নি। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই একই ধরনের হামলায় আবুধাবিতে তিন বিদেশি নাগরিক নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছিলেন। নিহত ৩ জনের মধ্যে ২ জন ভারতীয় ছিলেন।
সোমবারের হামলার দায় এখনও পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি। তবে, সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আন্তঃব্যালিস্টিক ছিল এবং এই হামলা সম্ভবত ইয়েমেনের (Yemen) ইরান-সমর্থিত (Iran-backed) বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি গোষ্ঠী (Houthi) চালিয়েছে। যারা গত সপ্তাহে আবুধাবির ড্রোন হামলার (Abu Dhabi Drone Attack) দায় নিয়েছিল। রবিবার রাতে সৌদি আরবের (Saudi Arab) দক্ষিণাঞ্চলে একটি শিল্প এলাকাতেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ করেছিল সেই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তারা জানিয়েছিল ওই হামলায় দুই বিদেশী নাগরিক আহত হয়েছেন এবং ওই শিল্পাঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন - Abu Dhabi Fire: আবুধাবিতে সম্ভাব্য ড্রোন হামলায় নিহত ২ ভারতীয়, ১ পাকিস্তানি
আরও পড়ুন - Drone Attack at Abu Dhabi Airport: আবুধাবি বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা, দায় স্বীকার হুথি'দের
আরও পড়ুন - ইয়েমেনে সৌদির এয়ার স্ট্রাইক, নিহত অন্তত ১০০, গুরুতর আহত ৪০
গত সপ্তাহে আবুধাবিতে ড্রোন হামলার পর, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট, গত কয়েকদিনে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের ঘাঁটিগুলিতে ফের বিমান হামলা (Air Strike) চালায়। এই হামলায়, উত্তরের সাদা (Saada) প্রদেশের একটি অস্থায়ী আটক কেন্দ্রে গত শুক্রবার অন্তত ৬০ জন এবং গত মঙ্গলবার হুথি-নিয়ন্ত্রিত সানায় (Sana) অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। এরপরই এদিনের হামলা হল।
২০১৫-র শুরু থেকেই ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে (Yemen Civil War) সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে জড়িত রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। ২০১৪ সালে ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে সেখানকার আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল হুথিরা। তারপরই ইরান-সমর্থিত হুথিদের আক্রমণ করেছিল সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ইয়েমেনে অবস্থিত হুথি বিদ্রোহীদের ঘাঁটিগুলিতে বিমান হামলা জোরদার করেছিল আমিরশাহি। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগেই প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল হুথিরা। তবে, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ইরান ও সৌদি আরবেরই ছায়া যুদ্ধ। ইরানের বিরুদ্ধে হুথিদের রকেট, ক্ষেপণাস্ত্রের মতো ভারি সমরাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ করে সৌদি আরব। ইরান অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।