ইউক্রেন ও রাশিয়া আলোচনার জন্য একটি স্থান ও সময় নিয়ে নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভালোদিমির জেলেনস্কির মুখপাত্র সেগ্রেই নাইকিফোভ সোস্যাল মিডিয়ায় এই বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু তার কিছুক্ষণ আগেই ইউক্রেনের নেতাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন পুতিন।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (Russia-Ukraine Crisis) ঘোষণার দ্বিতীয় দিনে কিছুটা হলেও সুর নরম করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। সূত্রের খবর ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভালোদিমির জেলনস্কির (Volodymyr zelensky) সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পদক্ষেপে রীতিমত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মস্কো। তারপরই কিয়েভের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে।
১. সূত্রের খবর ইউক্রেন ও রাশিয়া আলোচনার জন্য একটি স্থান ও সময় নিয়ে নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভালোদিমির জেলেনস্কির মুখপাত্র সেগ্রেই নাইকিফোভ সোস্যাল মিডিয়ায় এই বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু তার কিছুক্ষণ আগেই ইউক্রেনের নেতাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন পুতিন।
২. এর আগে ক্রেনলিন জানিয়েছেন বেলারুশের রাজধানী মিবস্কে ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি রুশ প্রশাসন। কিন্তু সেই স্থান পছন্দ হয়নি ইউক্রেনের। পরিবর্তে ইউক্রেনর ওয়ারশয়ের নাম প্রস্তাব করেছিল। তারপর আলোচনা থেমে গিয়েছিল।
৩. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে রাশিয়ার আলোচনার প্রস্তাবটি অনেকটা বন্দুকের নল দিয়ে কূটনীতি পরিচালনা করার মত। আলোচনার টেবিলে বসার আগে পুতিনের বাহিনীকে অবশ্যই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধ করতে হবে।
৪. তবে তার আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। যাতে কিছুটা হলেও চাপ বেড়েছে পুতিনের ওপর। যদিও নতুন আর্থিক নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে পুতিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র নিন্দা করেছেন।
৫. রাশিয়া রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোটো দিয়েছে। যা ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রসেনর নিন্দা করেছে। সেখানে ভোট দান থেকে বিরত থেকেছে ভারত, চিন ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। ত
৬. রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এদিনও ইউক্রেনবাসীর উদ্দেশ্যে একটি টেলিভিষণ বার্তায় সেদেশের শাসকদলের তীব্র নিন্দা করেছেন। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে রাশিয়াকে সমর্থন করার আবেদন জানিয়েছেন। ইউক্রেনের সরকারকে নব্য নাৎসি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন দেশটির সাধারণ মানুষ যদি তাদের পাশে থাকে তাহলে তারা সহজেই শান্তির পথে হঁটবে।
৭. পাল্টা হিসেবে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি কিয়েভ থেকে একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই করছে। এটা তাদের স্বাধীনতার লড়াই। তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা কিয়েভ ছেড়ে যাবেন না। কিয়েভে থেকেই রুশ সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
৮, এদিন সকালে রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পা রাখে। রাশিয়া ঘোষণা করেছে কিয়েভের উত্তর পশ্চিমে হোস্টোমেল এয়ারফিল্ড দখল করেছে রুশ সেনা। তবে ইউক্রেন সরকার সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে সেখানে প্রবল যুদ্ধ চলছে বলে জানিয়েছে।
৯. কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন শহরে তিন মিলিয়ন মানুষের বাস। কিন্তু এই শহরে রুশ সেনা প্রবেশ করেছে। তারা গুলি ও বোমা চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন শত্রুপক্ষ ইউক্রেনকে ধ্বংস করতে চায়।
১০. কিয়েভের দাবি এক হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। রাশিয়া এখনও হতাহতের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি। তবে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, ২৫ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১০২।