প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন যে তিনি বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন এবং এটিকে আইনে পরিণত করবেন। আইনটির পক্ষে ৩৫২টি ভোট দেওয়া হয়েছিল, যেখানে এটির বিরুদ্ধে মাত্র ৬৫টি ভোট দেওয়া হয়েছিল
মার্কিন পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতারা একটি আইন পাস করেছেন যার কারণে চিনের জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক নিষিদ্ধ হতে পারে। ভারত ইতিমধ্যেই TikTok নিষিদ্ধ করেছে। আমেরিকায় TikTok এর প্রায় ১৭ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। এই আইনটি এখন সিনেটে পাস করতে হবে এবং রাষ্ট্রপতিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
জো বাইডেনের অবস্থান কী?
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন যে তিনি বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন এবং এটিকে আইনে পরিণত করবেন। আইনটির পক্ষে ৩৫২টি ভোট দেওয়া হয়েছিল, যেখানে এটির বিরুদ্ধে মাত্র ৬৫টি ভোট দেওয়া হয়েছিল৷ মার্কিন সেনেটে এই প্রস্তাবটি রিপাবলিকান এমপি মাইক গ্যালাঘের এবং ডেমোক্র্যাট রাজা কৃষ্ণমূর্তি উত্থাপন করেছিলেন৷
চিনের বিরুদ্ধে কঠোরতা দেখিয়েছে আমেরিকা
টিকটোক বিলকে তুলে ধরা হাউস কমার্স কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান ক্যাথি ম্যাকমরিস রজার্স বলেছেন, 'আজ আমরা আমাদের প্রতিপক্ষদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাচ্ছি যে আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করা সহ্য করব না।'
TikTok এর বিরুদ্ধে অভিযোগ কি?
TikTok এর মূল কোম্পানি ByteDance চিনে রয়েছে। এই কোম্পানি সরকারের সঙ্গে যুক্ত। আইন কার্যকর হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে কোম্পানিতে শেয়ার বিক্রি করতে হবে।
উল্লেখ্য ২০২০ সালেও টিকটকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় তৎকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতের পথ অনুসরণ করে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জনপ্রিয় দুই চিনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটক ও উইচ্যাট নিষিদ্ধ করে আমেরিকা। মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য অত্য়ন্ত ক্ষতিকর এই দুই অ্যাপ। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ করে চিন। বেজিংয়ের অভিযোগ ছিল, ‘হুমকি’ দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। পরিস্থিতি এমন থাকলে তাদেরও পাল্টা পদক্ষেপ করতে হতে পারে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।