অনন্য নজির! ২০০টি ভাষাকে পিছনে ফেলে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যালটে থাকবে বাংলা

Published : Nov 04, 2024, 04:15 PM IST
bengla us election

সংক্ষিপ্ত

ইউএস বোর্ড অফ ইলেকশনস এনওয়াইসি-এর নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান বলেছেন, ইংরেজি ছাড়াও ব্যালটে আরও চারটি ভাষা থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে চাইনিজ, স্প্যানিশ, কোরিয়ান এবং বাংলা।

আগামী ৫ নভেম্বর আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হতে চলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ভারতের প্রভাব। এবার নিউইয়র্কের নির্বাচনী ব্যালটে ভারতীয় ভাষাও দেখা যাবে। প্রার্থীদের নাম ব্যালট পেপারে বাংলায় লেখা হবে। সিটি প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্কে ২০০টিরও বেশি ভাষায় কথা বলা হলেও ইংরেজি ছাড়াও নির্বাচনে ব্যালটে আরও চারটি ভাষা থাকবে। এর মধ্যে বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ইউএস বোর্ড অফ ইলেকশনস এনওয়াইসি-এর নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান বলেছেন, ইংরেজি ছাড়াও ব্যালটে আরও চারটি ভাষা থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে চাইনিজ, স্প্যানিশ, কোরিয়ান এবং বাংলা। তিনি বলেন, বিচারের পর বাংলাকে ভারতীয় ভাষা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।

মামলায় জনসংখ্যার ঘনত্বের পরিপ্রেক্ষিতে এশীয় ভারতীয় ভাষাগুলিকে দেশে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এরপর বাংলা ভাষার ব্যাপারে ঐকমত্য হয়। সরকার তখন ভোটাধিকার আইনের আওতায় দক্ষিণ এশিয়ার সংখ্যালঘুদের সাহায্য করার জন্য ব্যালট পেপারে বাংলা ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বলেছিল। তিনি জানান, ২০১৩ সালে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় প্রথমবারের মতো বাংলায় অনুবাদ করা ব্যালট পেপার পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, ব্যালট পেপারে বাংলা ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা শুধু সৌজন্য নয়, আইনি প্রয়োজন। আইন অনুসারে নিউ ইয়র্ক সিটির কিছু ভোটকেন্দ্রে বাংলায় ভোটদানের উপকরণ সরবরাহ করতে হয়। ব্যালট পেপার ছাড়াও ভোটের সামগ্রীও বাংলা ভাষায়। যাতে ভোটাররা যারা বাংলা জানেন এবং বলতে পারেন তাদের সহায়তা পান।

ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডঃ অবিনাশ গুপ্ত বলেছেন যে এটি ভারতীয় সম্প্রদায়কে সাহায্য করে৷ তিনি বলেছিলেন যে ব্যালট পেপারে বাংলা থাকার কারণে ভারতীয়রা বাইরে এসে ভোট দেয়। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের আওয়াজ তুলতে পারি। আমাদের এখানে জনসংখ্যা অনেক বেশি।

PREV
click me!

Recommended Stories

অভিভাসন ইস্যুতে বিতর্কে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্স, ভ্যান্সের স্ত্রী-সন্তানকে ভারতে পাঠাবে আমেরিকা?
এই ১৯টি দেশ আমেরিকার নিরাপত্তার বড় চ্যালেঞ্জ! অভিবাসন আবেদন স্থগিত ট্রাম্প প্রশাসনের