২৭ জানুয়ারি থেকে মোবাইলের নতুন যুগের সূচনা: টাওয়ার ছাড়াই মিলবে ইন্টারনেট!

Published : Jan 26, 2025, 07:16 PM IST
২৭ জানুয়ারি থেকে মোবাইলের নতুন যুগের সূচনা: টাওয়ার ছাড়াই মিলবে ইন্টারনেট!

সংক্ষিপ্ত

এলন মাস্কের স্টারলিংক আনছে 'ডাইরেক্ট-টু-সেল স্যাটেলাইট' প্রযুক্তি। এখন মোবাইল টাওয়ার ছাড়াই বিশ্বের দুর্গম এলাকায়ও পাওয়া যাবে নেটওয়ার্ক। জেনে নিন কীভাবে কাজ করবে এই প্রযুক্তি।

ডাইরেক্ট টু সেল স্যাটেলাইট প্রকল্প: এলন মাস্ক স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করতে প্রস্তুত। ২৭ জানুয়ারি থেকে তাঁর উচ্চাভিলাষী ডাইরেক্ট টু সেল স্যাটেলাইট প্রকল্পের পাইলট প্রকল্প শুরু হতে চলেছে। মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স-এর স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বিভাগ স্টারলিংক 'ডাইরেক্ট-টু-সেল স্যাটেলাইট' প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে। এই প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের সরাসরি স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযুক্ত করার চেষ্টা করছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল এমন এলাকায় নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়া যেখানে ঐতিহ্যবাহী মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা কঠিন বা অসম্ভব।

কীভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি?

ডাইরেক্ট টু সেল স্যাটেলাইট প্রকল্পের আওতায়, লো আর্থ অরবিট (LEO)-তে স্থাপিত স্যাটেলাইট সরাসরি স্মার্টফোন এবং অন্যান্য মোবাইল ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এর জন্য কোনও বিশেষ হার্ডওয়্যার বা স্যাটেলাইট ফোনের প্রয়োজন হবে না। এই প্রযুক্তি বিদ্যমান মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করবে।

স্টারলিংক বেশ কয়েকটি বড় মোবাইল কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে

স্টারলিংক এই প্রকল্পের জন্য টি-মোবাইলের মতো বড় টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। এই প্রযুক্তির লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে সংযোগের 'মৃত অঞ্চল'গুলিকে সরিয়ে দেওয়া যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও নেটওয়ার্ক পৌঁছায়নি। বিশ্বের লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী সংযোগ থাকা সত্ত্বেও খারাপ সংযোগ বা কল ড্রপের সমস্যায় ভোগেন, কিন্তু এই নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে এর থেকেও মুক্তি মিলবে।

এই প্রকল্পের সুবিধাগুলি কী?

  • দুর্গম এলাকায় সংযোগ: এই প্রযুক্তি পাহাড়, মরুভূমি, সমুদ্র এবং এমন গ্রামগুলিতে নেটওয়ার্ক সরবরাহ করবে যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও সুবিধা ছিল না।
  • জরুরি অবস্থায় সহায়ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জরুরি অবস্থায় যখন মোবাইল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন এই স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক যোগাযোগের সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম হতে পারে।
  • মৃত অঞ্চলের অবসান: এমন স্থান, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছায় না, এখন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে।
  • ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT)-এর সম্প্রসারণ: কৃষি, পরিবহন এবং বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষণের মতো ক্ষেত্রে IoT ডিভাইসের জন্য এই প্রযুক্তি বৈপ্লবিক প্রমাণিত হতে পারে।

PREV
click me!

Recommended Stories

এই ১৯টি দেশ আমেরিকার নিরাপত্তার বড় চ্যালেঞ্জ! অভিবাসন আবেদন স্থগিত ট্রাম্প প্রশাসনের
আকাশসীমায় সঙ্ঘাত! পরদিনই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা ট্রাম্পের, কী বললেন মাদুরো?