
Donald Trump on Pahalgam: জঙ্গি হানায় ২৬ পর্যটকের মৃত্যুতে রক্তাক্ত পহেলগাঁও। ৩৭০ ধারা রদের পর এই প্রথম এতবড় জঙ্গি হামলার শিকার কাশ্মীর। ঘুরতে গিয়ে নিরীহ পর্যটকদের খুনের ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা বিশ্ব। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রনেতারা। তবে কাশ্মীর ইস্যুতে নিজেকে মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে রাখলেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিন ধরে চলা কাশ্মীর সমস্যায় মধ্যস্থতা করবেন ট্রাম্প? (Donald Trump on Pahalgam)
গাজা, রাশিয়া-ইউক্রেনের ঝামেলার শান্তিরক্ষার বার্তা দিলেও ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সমস্যায় কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ, শুক্রবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, ''ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সমস্যা চলছে তা ভারত নিজেরাই মিটিয়ে নিতে পারবে।" ট্রাম্পের এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে, গাজা বা ইউক্রেনের মতো ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ঝামেলায় তিনি মোটেও মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী নয়।
শুক্রবার পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ''কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে যা হয়েছে তা তীব্র নিন্দনীয় ঘটনা। ১৫০০ বছর ধরে ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। তারা নিজেরাই নিজেদের সমস্যা মেটাবে।'' ফলে ট্রাম্পের এই মন্তব্যে কার্যত স্পষ্ট ভারত-পাক এলওসি (প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা) নিয়ে বর্তমানে যে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা ভারত-পাকিস্তান নিজেরাই নিজেদের সমস্যা মেটাবে।
মোদী-ট্রাম্প সখ্যতার খবর সারা বিশ্ব জানে। কিন্ত পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও যে তার ঘনিষ্ঠ সে কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। কারণ তিনি আরও বলেন,''দুই রাষ্ট্রনেতাকে বহুদিন ধরেই চিনি। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান সমস্যা বোধহয় তার থেকেও বেশি দিনের পুরনো। কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশই হাজার হাজার বছর ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে। তার থেকেও বেশি দিন ছাড়া কম হবে না।''
উল্লেখ্য, মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড অবশ্য জানিয়েছেন, পহেলগাঁওয়ের খুনিদের সন্ধানে ভারতকে সাহায্য করতে আমেরিকা প্রস্তুত। তবে অতি সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে যে, গাজার হামলার ঘটনা হোক কিংবা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দুই দেশের রাষ্ট্রনায়কদের যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে এই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের সংঘাতে আমেরিকা যে মোটেও নাক গলাতে রাজি নয়, তা কায়দা করে বুঝিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।