
Elon Musk on Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ক্রমশ বাড়ছে দূরত্ব! ইলন-ট্রাম্প সম্পর্কে নতুন তরজা। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, ট্রাম্পের দেওয়া পদ ছাড়ছেন টেসলা কর্তা (Elon Musk)। সূত্রের খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিলেন ইলন মাস্ক। ডোনাল্ড ট্রাম্পের হয়ে গিয়েছিলেন নির্বাচনী প্রচারেও। সেই বন্ধুত্বের দামও দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
টেসলা প্রধানকে আমেরিকা প্রশাসনে একটি আলাদা বিভাগও করে দেন ট্রাম্প (Donald Trump)। 'ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সি' নামের ওই সংস্থা থেকে এবার পদত্যাগ করলেন ইলন। জানা গিয়েছে, ইলন মাস্কের 'ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সি' (DOGE) প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন! মাস্ক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে "অপচয়মূলক ব্যয় কমানোর সুযোগ" দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মাস্কের ঘোষণা অনুযায়ী, DOGE-এর এই মিশন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হবে এবং সরকারের একটি "জীবনযাত্রার অংশ" হয়ে উঠবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের সমালোচনা করে DOGE প্রধানের পদ ছাড়লেন এলন মাস্ক (Elon Musk on Trump):-
ইলন মাস্কের পদত্যাগের বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তাঁর প্রথম সমালোচনার একদিন পরেই। মাস্ক বলেছিলেন যে, প্রেসিডেন্টের "বড়, সুন্দর" ব্যয় বিল বাজেট ঘাটতি বাড়ায় এবং DOGE দলের কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মাস্কের মন্তব্য ছিল, "একটি বিল বড় হতে পারে, অথবা এটি সুন্দর হতে পারে। কিন্তু আমি জানি না এটি উভয়ই হতে পারে কিনা। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।"
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণে এলন মাস্ক ছিলেন অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পরেও দৃঢ়ভাবে তাঁর পাশে ছিলেন। নিজের বিজয় ভাষণে ট্রাম্প মাস্কের ভূয়সী প্রশংসা করেন, যেখানে তিনি উজ্জ্বল মুখে বলেন, "একজন নক্ষত্রের জন্ম হয়েছে।"
DOGE-এর কর্মতত্পরতা: ব্যয় সংকোচনে মাস্কের কঠোর পদক্ষেপ (Elon Musk on Trump):-
'ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সি' (DOGE) তাদের কাজ পুরোদমে শুরু করার পর, মাস্ক এমন "অতি উচ্চ আইকিউ সম্পন্ন ছোট-সরকার বিপ্লবী"-দের খুঁজছিলেন, যারা সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকর্ষণহীন ব্যয় সংকোচনমূলক কাজে নিয়োজিত থাকতে ইচ্ছুক। এর ফলস্বরূপ, হাজার হাজার কর্মীকে সরকারি বেতন থেকে বাদ দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকটি বিভাগকে ছোট করা হয় বা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি এই সময়ে টেসলার প্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে মতবিরোধেও জড়িয়ে পড়েন। চলতি মাসের শেষেই এই পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত বিতর্কের মুখে তার আগেই ট্রাম্পের দেওয়া পদ ছাড়লেন টেসলা কর্তা।
অন্যদিকে, আমেরিকার রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর সরকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ফের একবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন হার্ভার্ডে বিদেশি ছাত্রদের ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সচিব বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, যতক্ষণ না তদন্ত শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে (Trump Halts Harvard Foreign Student Admissions)।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।