মোস্ট ফেভারড নেশন নীতি: ট্রাম্পের ওষুধ নীতিতে ভারতের লাভ না ক্ষতি?

Published : Dec 18, 2025, 07:09 PM IST
মোস্ট ফেভারড নেশন নীতি: ট্রাম্পের ওষুধ নীতিতে ভারতের লাভ না ক্ষতি?

সংক্ষিপ্ত

ট্রাম্পের “মোস্ট ফেভারড নেশন” ওষুধ নীতির ফলে আমেরিকায় ওষুধের দাম কমবে, কিন্তু তার মূল্য কি ভারতকে চোকাতে হবে? জেনেরিক ওষুধের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী হওয়া সত্ত্বেও ভারতীয় ফার্মা কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমার ঝুঁকি রয়েছে। 

Trump Prescription Drug Policy: আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ঘোষণায় গোটা বিশ্বের ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্প প্রেসক্রিপশন ওষুধের দামে ছাড়ের কথা বলেছেন এবং এর জন্য তিনি “Most Favored Nation Policy” লাগু করার ঘোষণা করেছেন। এই সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রভাব ভারতের ওপর পড়তে পারে, কারণ ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো আমেরিকাকে সস্তায় ওষুধ সরবরাহ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই নীতি কি ভারতের জন্য সুযোগ, নাকি বড় বিপদ?

‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ নীতি আসলে কী?

ট্রাম্পের এই নীতির অর্থ হলো, আমেরিকায় ওষুধের দাম সেটাই হবে, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশে সবচেয়ে কম। অর্থাৎ, আমেরিকা আর এটা মানবে না যে তার নাগরিকরা অন্য দেশের তুলনায় বেশি দামে ওষুধ কিনবে। ট্রাম্পের দাবি, এর ফলে ওষুধের দাম ৪০০ থেকে ৬০০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। ট্রাম্প স্পষ্ট বলেছেন যে কয়েক দশক ধরে ওষুধ কোম্পানি এবং বিদেশী দেশগুলো আমেরিকার কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করছিল, যা বন্ধ করা হবে।

ভারতীয় ফার্মা কোম্পানিগুলোর জন্য এই খবরটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ভারতকে বিশ্বের “ফার্মেসি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড” বলা হয়। আমেরিকায় ব্যবহৃত জেনেরিক ওষুধের একটি বড় অংশ ভারত থেকে যায়। ভারতীয় কোম্পানিগুলো আমেরিকান এফডিএ-র নিয়ম মেনে কারখানা তৈরি করেছে এবং বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকা যদি দাম নিয়ে কড়াকড়ি করে, তাহলে কি ভারতীয় কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমবে? নাকি ওষুধের দাম কমানোর চাপ ভারতের ওপর আসবে?

জেনেরিক ওষুধের ওপর কি বেশি প্রভাব পড়বে?

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এই নীতির সবচেয়ে বেশি প্রভাব ব্র্যান্ডেড ওষুধের ওপর পড়তে পারে, তবে জেনেরিক ওষুধও পুরোপুরি সুরক্ষিত নয়। যদি আমেরিকা আন্তর্জাতিক দামের সাথে তুলনা করে, তাহলে ভারতীয় কোম্পানিগুলোকেও তাদের দাম নিয়ে পুনরায় ভাবতে হতে পারে। তবে এটাও সত্যি যে আমেরিকার সস্তা ওষুধের প্রয়োজন রয়েছে এবং এই প্রয়োজন মেটাতে ভারত সবচেয়ে শক্তিশালী বিকল্প হিসেবেই থাকছে।

শুল্কের হুমকিতে কি খেলার মোড় ঘুরবে?

ট্রাম্প এটাও খোলাখুলি বলেছেন যে তিনি শুল্কের হুমকি ব্যবহার করে বিদেশী দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। এর পরিষ্কার অর্থ হলো, ওষুধ নীতি এখন আর শুধু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নয়, বরং এটি বাণিজ্য যুদ্ধের একটি অস্ত্রও হয়ে উঠতে পারে। এর ফলে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন আলোচনা এবং নতুন শর্ত সামনে আসতে পারে।

ভারতের জন্য এটা চ্যালেঞ্জ না সুযোগ?

এই নীতি ভারতের জন্য একটি দ্বিমুখী তলোয়ারের মতো। একদিকে দামের চাপ বাড়তে পারে, অন্যদিকে ভারতের ভূমিকা আরও শক্তিশালী হতে পারে কারণ আমেরিকার সস্তা এবং নির্ভরযোগ্য ওষুধ প্রয়োজন। আগামী মাসগুলোতে এর উত্তর পরিষ্কার হয়ে যাবে, যখন জানুয়ারি থেকে এই নীতি কার্যকর হবে এবং TrumpRx.gov-এর মাধ্যমে দাম সার্বজনিক করা হবে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ফাঁপড়ে সাত দেশের নাগরিকরা, আমেরিকায় প্রবেশের দরজা বন্ধ হচ্ছে পুরোপুরি
ট্রাম্পের শুল্কাঘাতকে থোড়াই কেয়ার, মার্কিন মুলুকে রফতানি বাণিজ্য বিপুল বৃদ্ধি ভারতের