ফের মার্কিন মুলুকে ভারতীয় ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু! কী হয়েছিল জানলে চমকে যাবেন।
গত বছরই মার্কিন মুলুকে পাড়ি দিয়েছিলেন হায়দরাবাদের এক ছাত্র। চোখে ছিল এক রাশ স্বপ্ন। কিন্তু হঠাৎই সব পালটে গেল। পঁচিশ বছরেই থমকে গেল জীবন। ওহায়োর ক্লিভল্যান্ডে মিলল মৃতদেহ। মৃত এই ছাত্রের নাম মহম্মদ আব্দুল আরফত। ক্লিভল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করার উদ্দেশ্যে বিদেশে গিয়েছিলেন এই মহম্মদ আব্দুল। ফের বিদেশে ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।
মার্কিন মুলুকে পড়তে গিয়ে মৃত্যুর খবর এর আগেও বহুবার সামনে এসেছে। মার্কিন মুলুকে একের পর এক ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ভারতীয়দের মধ্যে। এক্স-এর পোস্টে দূতাবাসের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “মহম্মদ আব্দুল আরফত নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে বিচলিত হয়ে তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। অবশেষে ওহায়োর ক্লিভল্যান্ডে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। মহম্মদ আরফতের পরিবারের জন্য আমাদের গভীর সমবেদনা। এর পাশাপাশি নিউ ইয়র্কের ভারতীয় দূতাবাস স্থানীয় এজেন্সিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে, যাতে ওই ছাত্রের মৃত্যুর তদন্ত ঠিকঠাক ভাবে হয়। মৃত ছাত্রের মৃতদেহ যাতে নিরাপদে ভারতে পৌঁছয়, তার জন্যও পরিবারের দিকে সমস্ত সম্ভাব্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
গত মাসে পুত্রের নিরাপত্তার খাতিরে একটি উড়োফোন আসে আরফতের বাবা মায়ের কাছে। ফোনের ও-প্রান্তে থাকা এক ব্যক্তি তাঁদের জানায় যে ২৫ বছর বয়সী ওই ছাত্রকে অপহরণ করা হয়েছে। এমনকী দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ না পেলে ওই ছাত্রের কিডনি বিক্রি দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল অপহরণকারীরা।
সংবাদমাধ্যমের কাছে আরফতের বাবা মহম্মদ সালিম জানান যে, পুত্রের মুক্তির জন্য অপহরণকারীরা তাঁর থেকে ১২০০ ডলার দাবি করে। অথচ কীভাবে সেই মুক্তিপণ দিতে হবে, সেই ব্যাপারে কিছুই জানায়নি তারা। গত ৭ মার্চ শেষ বারের মতো মা বাবার সঙ্গে কথা হয় আরফতের।
এভাবে বার বার মার্কিন মুলুকে ছাত্র মৃত্যুর খবরে চিন্তিত ভারতীয়রা। প্রতি বছর বহু ভারতীয় ছাত্র উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে পারি দেন। এভাবে একের পর এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিদেশে পড়তে যাওয়া অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের বাবা-মায়েদের মধ্যেও। কিন্তু একের পর এক ছাত্রের মৃত্যুর সঠিক কোনও কারণ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর পেছনে কোনও দুষ্কৃতী দলের যোগ রয়েছে কি না তা নিয়েও চিন্তিত ভারতীয়রা।